বলিউড গ্ল্যামারের আড়ালে লুকিয়ে থাকে বহু অন্ধকার দিক। আজ যাঁরা আলো ঝলমলে রূপোলি পর্দায় নায়িকা হিসেবে রাজ করছেন, তাঁদের অনেকের কেরিয়ারের প্রথম দিকে কাস্টিং কাউচ বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন অনিল কন্যা ও অভিনেত্রী সোনম কাপুরও।
সাওয়ারিয়া দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ
২০০৭ সালে সঞ্জয়লীলা বনশালির হাত ধরে সাওয়ারিয়া ছবিতে রণবীর কাপুরের বিপরীতে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন সোনম কাপুর। তবে ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। সেই ব্যর্থতার পর প্রায় দু’বছর কাজ পাননি তিনি। এরপর দিল্লি-৬ ছবির প্রস্তাব আসে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু এই সময়ই ঘটে যায় এক তিক্ত অভিজ্ঞতা।
পরিচালকের বাড়িতে গিয়ে চরম অস্বস্তি
কফি উইথ করণ শো-তে সোনম নিজেই প্রকাশ্যে আনেন ঘটনার বিবরণ। তিনি জানান—একজন পরিচিত পরিচালকের কাছ থেকে ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। চিত্রনাট্য শোনার জন্য গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু পরিচালক গল্প না শোনিয়ে তাঁর দিকে অস্বস্তিকর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকেন। এরপরেই মন্তব্য করেন—সব ঠিক আছে, তবে তোমার স্তন কবে বড় হবে?
চুপ না থেকে প্রতিবাদ
পরিচালকের এই অশ্লীল মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সোনম কাপুর। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং জানিয়ে দেন, ওই পরিচালকের ছবিতে আর কখনও কাজ করবেন না। পরে তিনি জানতে পারেন, সেই ছবিতে শেষ পর্যন্ত অভিনয় করেন আমিশা প্যাটেল।
কেরিয়ার বনাম আত্মসম্মান
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক অভিনেত্রীই ক্যারিয়ারের খাতিরে অপমান চেপে যান। তবে সোনম কাপুর ব্যতিক্রম। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, কাজের জন্য কখনও আত্মসম্মান বিসর্জন দেবেন না। এই অবস্থান তাঁকে আরও দৃঢ় করে তোলে বলিউডে।
বলিউডে পা রাখার শুরুতেই অভিনেত্রী সোনম কাপুরের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কাস্টিং কাউচের মতো অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতার। এক নামকরা পরিচালক তাঁকে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন। তবে চুপ থাকেননি সোনম, প্রতিবাদ জানিয়ে সরে এসেছিলেন ছবির কাজ থেকে।