পূর্ণিয়ার উন্নয়ন নিয়ে পাপ্পু যাদবের বড় ঘোষণা: হাই-টেক বিমানবন্দর, উপ-রাজধানী সহ একাধিক দাবিতে জোর

পূর্ণিয়ার উন্নয়ন নিয়ে পাপ্পু যাদবের বড় ঘোষণা: হাই-টেক বিমানবন্দর, উপ-রাজধানী সহ একাধিক দাবিতে জোর

পূর্ণিয়া থেকে নির্দলীয় সাংসদ পাপ্পু যাদব সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিবৃতি দিয়েছেন। এএনআই-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে তাঁর অঙ্গীকার কেবল বিমানবন্দরকে রেলওয়ের সাথে সংযুক্ত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না।

পাটনা: সীমান্ত অঞ্চলের (সীমাঞ্চল) নির্দলীয় সাংসদ পাপ্পু যাদব আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আবারও একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, এএনআই-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে কেন্দ্র সরকারের সাথে পূর্বের প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ হয়েছে এবং এখন তাঁর দৃষ্টি পূর্ণিয়াসহ সমগ্র সীমান্ত অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের দিকে।

তিনি পূর্ণিয়াকে বিহারের উপ-রাজধানী করা, একটি হাই-টেক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ, হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন, জিএসটি ছাড়, এইমস (AIIMS) এর মতো আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা এবং কোসি অঞ্চলে একটি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের দাবি করেছেন। তিনি আস্থা প্রকাশ করেছেন যে এই দাবিগুলি শীঘ্রই পূরণ হবে এবং এর ফলে অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মৌলিক সুবিধাগুলিতে ঐতিহাসিক উন্নতি আসবে।

হাই-টেক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: ব্যবসা ও পর্যটনে নতুন গতি

পাপ্পু যাদব বলেছেন, আমার উদ্দেশ্য কেবল বিমানবন্দরকে রেলওয়ের সাথে সংযুক্ত করার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এখন আমি পূর্ণিয়াতে একটি হাই-টেক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। এতে সীমান্ত অঞ্চলের সংযোগ বাড়বে, বাণিজ্যের গতি বাড়বে এবং পর্যটনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। তিনি বলেন যে বিমানবন্দর নির্মিত হলে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে এবং এই অঞ্চলের মখনা, তিলকুট এবং অন্যান্য স্থানীয় কৃষি-ভিত্তিক পণ্যগুলি বিশ্ব বাজারে পৌঁছাতে পারবে। একই সাথে, ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন পথ খুলে যাবে, যা সীমান্ত অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আনবে।

পূর্ণিয়াকে উপ-রাজधानी করার প্রস্তাব

সাংসদ পূর্ণিয়াকে বিহারের উপ-রাজধানী করার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন যে সীমান্ত অঞ্চলের ভৌগলিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক চাহিদার কথা বিবেচনা করে, প্রশাসনিক সুবিধার কেন্দ্র হিসাবে পূর্ণিয়াকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া উচিত। তিনি বলেন যে উপ-রাজধানী হলে স্থানীয় লোকেরা সরকারি পরিষেবাগুলিতে আরও ভালভাবে প্রবেশাধিকার পাবে। পটনা থেকে দূরত্ব এবং ভ্রমণের সময় বিবেচনা করে এই পদক্ষেপটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। একই সাথে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক অংশগ্রহণ বাড়বে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।

পাপ্পু যাদব বলেছেন যে সীমান্ত এবং কোসি অঞ্চলের মানুষকে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। তাই পূর্ণিয়াতে হাইকোর্ট বেঞ্চ স্থাপন অপরিহার্য। এর ফলে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকেরা সস্তা এবং সহজলভ্য ন্যায়বিচার পাবে। এছাড়াও, তিনি এই অঞ্চলে এইমস (AIIMS) এর মতো উচ্চ-স্তরের একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনেরও অনুরোধ করেছেন।

তাঁর মতে, মানসম্মত স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাবে রোগীদের অন্য রাজ্যে যেতে হয়, যা অর্থনৈতিক বোঝা বাড়ায়। স্থানীয়ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা সরবরাহ করা এই অঞ্চলের একটি বড় প্রয়োজন।

জিএসটি ছাড়ে স্থানীয় শিল্পগুলি পাবে নতুন গতি

পাপ্পু যাদব মখনা, তিলকুট এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলির উপর জিএসটি থেকে ছাড় দেওয়ার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে হাজার হাজার কৃষক এবং ছোট ব্যবসায়ীর জীবনযাত্রা এই পণ্যগুলির সাথে জড়িত। কর ছাড় পেলে উৎপাদন খরচ কমবে এবং স্থানীয় শিল্পগুলি উৎসাহিত হবে। তিনি আরও বলেন যে এটি কেবল কৃষকদের আয়ই বাড়াবে না, এই পণ্যগুলির পরিচিতিও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে সীমান্ত অঞ্চলের অর্থনীতি একটি নতুন দিকনির্দেশনা পেতে পারে।

কোসি নদী অঞ্চলে প্রতি বছর বন্যা সমস্যা মোকাবেলার জন্য পাপ্পু যাদব একটি শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণের দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন যে বন্যার কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে এবং এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে।

Leave a comment