শ্রীলঙ্কার সাংসদ হর্ষ ডি সিলভা বলেছেন, ভারত অর্থনৈতিক সংকটের সময় সাহায্য করেছে। আমেরিকার শুল্কের বিরুদ্ধে ভারতের কূটনৈতিক দৃঢ়তা পুরো অঞ্চলের জন্য উদাহরণ।
US Tariff Sri Lanka MP: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক সম্পর্কে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক দেশ এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে, কিন্তু ভারত দৃঢ়ভাবে তার নীতিতে অটল থেকেছে। ভারতের এই দৃঢ় অবস্থান নিয়ে শ্রীলঙ্কার वरिष्ठ সাংসদ হর্ষ ডি সিলভা সংসদে তার সরকারকে কঠোর পরামর্শ দিয়েছেন এবং ভারতের উদারতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, যখন শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিল, তখন ভারত তাকে সাহায্য করেছিল এবং এখনও তার পাশে আছে।
ভারত আমেরিকার স্বেচ্ছাচারিতা মানেনি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের উপর 50 শতাংশ ভারী শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত এই সিদ্ধান্তের সামনে নতি স্বীকার না করে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্তরে দৃঢ়তা দেখিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিল, চীন ও রাশিয়ার মতো অনেক দেশ ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করেছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার সংসদে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ভারতের সহনশীলতার প্রশংসা করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সাংসদ হর্ষ ডি সিলভার বক্তব্য
শ্রীলঙ্কার কলম্বোর সাংসদ হর্ষ ডি সিলভা বলেছেন, ভারতকে নিয়ে ঠাট্টা করা ভুল হবে। তিনি বলেন, "যখন ভারত কঠিন অবস্থায় থাকে, তখন তার হাসি না উড়িয়ে সম্মান করা উচিত। যখন আমরা কঠিন সময় পার করছিলাম, তখন ভারতই আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।" হর্ষ বলেন, ভারত আশা করেছিল যে শুল্ক 15 শতাংশ পর্যন্ত কম হবে, এবং শ্রীলঙ্কাও একই আশা করছিল। তিনি বলেন, খেলা এখনও শেষ হয়নি এবং তারা ভারতের এই লড়াইকে সম্মান করেন।
ভারতের অর্থনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন
ভারতের সাহায্য কেবল কূটনৈতিক সমর্থনেই সীমাবদ্ধ ছিল না। 2016 সালে ভারত শ্রীলঙ্কাকে 3.3 টন মেডিকেল সামগ্রী দিয়েছিল, যা उस সময়ে শ্রীলঙ্কার জন্য জীবন রক্ষার মতো ছিল। এছাড়াও, ভারত শ্রীলঙ্কাকে প্রায় 5 বিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট লাইন, অনুদান এবং ঋণ দিয়েছে। এর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার মাধ্যমে 400 মিলিয়ন ডলারের মুদ্রা বিনিময়, 500 মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক দায়বদ্ধতা স্থগিত করা এবং খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের জন্য 3.1 বিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট সুবিধা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভিত্তিগত অবকাঠামো ও উন্নয়নে ভারতের অবদান
ভারত শ্রীলঙ্কাকে পেট্রোলিয়াম পণ্য, লোকোমোটিভ এবং বাসও সরবরাহ করেছে। साथই শত শত মিলিয়ন ডলারের অনুদান প্রকল্পেও অর্থায়ন করেছে। এই প্রকল্পগুলো শ্রীলঙ্কার ভিত্তিগত অবকাঠামোকে উন্নত করতে, ডিজিটাল পরিচয় ব্যবস্থা তৈরি করতে, সৌরশক্তির क्षेत्रে উন্নতি করতে और प्लांटेशन वर्कर्सদের জন্য আবাসন সুবিধা उपलब्ध করাতে সাহায্য করেছে।
ঋণে ছাড় এবং রেয়াতি ক্রেডিট লাইন
ভারত শ্রীলঙ্কার জন্য কিছু ঋণকে অনুদানে রূপান্তরিত করেছে। সুদের হার কমানো হয়েছে এবং রেয়াতি ক্রেডিট লাইন দেওয়া হয়েছে, जिससे श्रीलंका के कर्ज के बोझ को काफी हद तक कम किया जा सका। इस प्रकार भारत ने न केवल आर्थिक संकट के समय मदद की, बल्कि स्थायी विकास में भी सहयोग किया। এভাবেই ভারত কেবল অর্থনৈতিক সংকটের সময় সাহায্য করেনি, বরং স্থায়ী উন্নয়নেও সহযোগিতা করেছে।
ভারতের সমর্থনের দৃষ্টান্ত পুরো এশিয়ার জন্য
হর্ষ ডি সিলভা सोशल मीडिया प्लेटफॉर्मেও ভারতের প্রশংসা করেছেন। उन्होंने लिखा, "भारत हमारा सच्चा दोस्त है। मुश्किल वक्त में भारत हमारे साथ खड़ा रहा। हमें उनकी लड़ाई का सम्मान करना चाहिए। भारत की हिम्मत पूरे एशिया के लिए मिसाल है।" তিনি লিখেছেন, "ভারত আমাদের সত্যিকারের বন্ধু। কঠিন সময়ে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের তাদের লড়াইকে সম্মান করা উচিত। ভারতের সাহস পুরো एशिया के लिए উদাহরণ।"