Supreme Court Firecracker Guidelines: দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় দিওয়ালিতে বাজি ফাটানোর অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট, তবে কড়া শর্তে। প্রধান বিচারপতি বি.আর. গভাই ও বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানায়, শুধুমাত্র গ্রিন ক্র্যাকার পোড়ানো যাবে এবং নির্দিষ্ট দুই সময়সীমার মধ্যে—সকাল ৬টা থেকে ৭টা ও রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভারসাম্যপূর্ণ পদক্ষেপ জরুরি, যাতে উৎসবও পালিত হয় আবার পরিবেশও রক্ষা পায়।
নির্দিষ্ট সময়েই ফাটানো যাবে বাজি
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, দিওয়ালির দিন সকাল ৬টা থেকে ৭টা ও রাত ৮টা থেকে ১০টা—এই দুই সময়সীমার বাইরে বাজি ফাটানো যাবে না। আদালত জানায়, উৎসবের আনন্দ ও পরিবেশ সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে ধাপে ধাপে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শুধু গ্রিন ক্র্যাকারেই অনুমতি
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র সার্টিফায়েড গ্রিন ক্র্যাকারই বিক্রি করা যাবে। প্রতিটি প্যাকেটের উপরে থাকতে হবে কিউআর কোড। শব্দবাজি বা অন্য কোনও ধরণের ফায়ারওয়ার্ক সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নির্দেশ না মানলে বিক্রেতা ও ক্রেতা—উভয়ের বিরুদ্ধেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিক্রেতা ও উৎপাদকদের উপর নজরদারি
পুলিশকে পেট্রোলিং টিম তৈরি করতে বলা হয়েছে, যারা বাজি উৎপাদক ও বিক্রেতাদের উপর নিয়মিত নজর রাখবে। দিল্লি-এনসিআরের বাইরে থেকে আনা বাজি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ নিয়ম ভাঙলে তার বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করবে CPCB
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড (CPCB)-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ১৮ অক্টোবর থেকে দিওয়ালি পর্যন্ত বাতাসের গুণমান পরীক্ষা চালাতে। ২০ অক্টোবরের পর সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের নির্দেশ, দূষণের মাত্রা বাড়লে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
দিল্লির দূষণ রুখতেই এই পদক্ষেপ
গত জুলাইয়ে দিল্লি পলিউশন কন্ট্রোল কমিটি ঘোষণা করেছিল, সারা বছরই বাজি উৎপাদন, বিক্রি ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশ বহাল রাখলেও, এবার উৎসব উপলক্ষে শর্তসাপেক্ষ ছাড় দিল। মূল লক্ষ্য—দূষণ কমিয়ে উৎসবের আনন্দ বজায় রাখা।
দিওয়ালিতে ফাটানো যাবে শুধু গ্রিন ক্র্যাকার, তাও আবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই—এমনই কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকাল ৬টা থেকে ৭টা ও রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বাজি পোড়ানোর সময়।