TMC Political Activity 2025: দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ফের তাপমাত্রা বাড়ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে মেগা বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার রাজ্যের ১০০টি জায়গায় এই অনুষ্ঠান হবে বলে সূত্রের খবর। শনিবারও ৫০টির বেশি জায়গায় বিজয়া সম্মিলনীর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। অন্যদিকে, বিজেপি শিবিরে এবার সে রকম সক্রিয়তা চোখে পড়ছে না, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।
২৬-এর ভোটের আগে জনসংযোগে জোর তৃণমূলের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ বছরই বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগ কর্মসূচিতে জোর দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ—প্রতিটি ব্লকে আয়োজন করা হচ্ছে এই বিজয়া সম্মিলনী। দলের এক সিনিয়র নেতার কথায়, “একদিনে এত সংখ্যক বিজয়া অনুষ্ঠান গত কয়েক বছরে হয়নি, এটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ।”
শনিবারও ব্যস্ততা তুঙ্গে, ৫০টির বেশি জায়গায় অনুষ্ঠান
সূত্রের খবর, শনিবারও রাজ্যের ৫০টির বেশি জায়গায় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছে তৃণমূল। প্রতিটি জেলার জনপ্রতিনিধি, ব্লক সভাপতি, এবং বুথ কর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য, পুজোর মরশুমে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানো।
বিজেপির নীরবতা নিয়ে জল্পনা
একসময় বিজেপির পক্ষ থেকেও বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন ছিল জনসংযোগের অন্যতম হাতিয়ার। দিলীপ ঘোষ সভাপতি থাকার সময় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলায় অন্তত দু’টি অনুষ্ঠান করা হতো। সুকান্ত মজুমদারের সময়ও সেই ধারা বজায় ছিল। কিন্তু এবারে বিজেপির তরফে তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এক পদ্মনেতার মন্তব্য, “২০২৬ সালে আমরা জোর কদমে ফিরব। এখন মানুষ নিজেরাই তৃণমূলের কাজের হিসাব নিচ্ছেন।”
রাজনীতিতে প্রতীকের লড়াই
বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলের এই মেগা বিজয়া সম্মিলনী শুধুমাত্র উৎসব নয়—এটি একটি সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের বার্তা। অন্যদিকে, বিজেপির নীরবতা তাদের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। উৎসবের আবহে রাজনীতি আবার নতুন মোড় নিতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার একদিনে রাজ্যের ১০০টি জায়গায় আয়োজন হচ্ছে মেগা বিজয়া সম্মিলনী। অন্যদিকে, এ বছর বিজেপি শিবিরে তেমন কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানাচ্ছেন দলীয় নেতারা।