এসএমএস জালিয়াতি রোধে TRAI একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে। এখন থেকে বার্তা প্রেরকের আইডি-র শেষে একটি বিশেষ কোড লেখা বাধ্যতামূলক হবে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আসল এবং নকল এসএমএস সহজেই চিনতে পারবে। এই পদক্ষেপটি সাইবার প্রতারণা এবং জালিয়াতি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
এসএমএস জালিয়াতি: ক্রমবর্ধমান সাইবার প্রতারণার ঘটনা বিবেচনা করে, ভারতীয় টেলিকম নিয়ন্ত্রক TRAI একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিটি এসএমএস প্রেরকের আইডি-র শেষে 'S', 'G' অথবা 'P' কোড বাধ্যতামূলকভাবে যুক্ত করা হবে। এই কোডটি নির্দেশ করবে যে বার্তাটি ব্যাঙ্কিং, সরকারি প্রকল্প বা প্রচারমূলক পরিষেবার সাথে সম্পর্কিত। এর উদ্দেশ্য হল ব্যবহারকারীরা যাতে সহজে জাল এবং আসল বার্তার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে এবং প্রতারণা এড়াতে পারে।
এভাবে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ
বর্তমানে প্রতারকরা নিজেদের ব্যাঙ্ক বা কোনো কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভুয়ো এসএমএস পাঠায় এবং মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এমন অনেক ভিডিও দেখা যায়, যেখানে অপরাধীরা ভুয়ো ব্যাঙ্ক লেনদেনের বার্তা দেখিয়ে অ্যাকাউন্টে ভুল করে টাকা আসার অজুহাত তৈরি করে এবং মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয়।
এই ধরনের পরিস্থিতিতে আসল এবং নকল এসএমএস-এর পার্থক্য বোঝা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। TRAI-এর নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর, ব্যবহারকারীরা সহজেই বুঝতে পারবে যে বার্তাটি প্রকৃতপক্ষে কোনো ব্যাঙ্ক, সরকারি সংস্থা বা কোম্পানির পক্ষ থেকে এসেছে নাকি এটি কোনো সাইবার অপরাধীর চাল।
আসল বার্তা এভাবে চিনবেন
TRAI নতুন নিয়ম অনুযায়ী এসএমএস প্রেরকের আইডিতে বিশেষ কোড যোগ করা বাধ্যতামূলক করেছে। যদি আইডি-র শেষে 'S' লেখা থাকে, তবে এটি ব্যাঙ্কিং, লেনদেন বা টেলিকম পরিষেবা সম্পর্কিত বার্তা হবে। 'G' অর্থ সরকারি প্রকল্প বা সতর্কতা এবং 'P' প্রচারমূলক বার্তার পরিচয় দেবে।
এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা আসল এবং ভুয়ো বার্তার মধ্যে সহজেই পার্থক্য করতে পারবে। অন্যদিকে, যদি কোনো প্রেরকের আইডি-র শেষে এই কোডটি না থাকে, তবে এটি সতর্ক হওয়ার একটি সংকেত হবে। এক্ষেত্রে, বার্তাটিকে উপেক্ষা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।