ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: কিমের সামরিক সহায়তার আশ্বাস এবং বিশ্ব রাজনীতিতে এর প্রভাব

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: কিমের সামরিক সহায়তার আশ্বাস এবং বিশ্ব রাজনীতিতে এর প্রভাব

১৫ই আগস্ট ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে কিম জং রাশিয়াকে সামরিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এই পদক্ষেপ ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

Trump-Putin Meeting: ১৫ই আগস্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে আলাস্কায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। এই সাক্ষাৎ ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বলেছেন যে তিনি পুতিনের সঙ্গে সরাসরি এবং স্পষ্ট ভাষায় কথা বলবেন এবং পরিষ্কার করে বলবেন যে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ এখন শেষ হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন যে বৈঠকের প্রথম দুই মিনিটের মধ্যেই বোঝা যাবে যে কোনো সমঝোতা সম্ভব কিনা।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সরাসরি ও निर्णायक আলোচনা

ট্রাম্প এর আগেও দাবি করেছিলেন যে তিনি ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। যদিও সময়ের সাথে সাথে তার অবস্থানে পরিবর্তন দেখা গেছে। এই সাক্ষাতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা হল তিনি প্রথমে পুতিনের কথা শুনবেন এবং তার চিন্তা-ভাবনা বুঝবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে এই বৈঠক একতরফা আলোচনার মতো হবে, যেখানে পুতিন তার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পেশ করবেন এবং ট্রাম্প তা বিবেচনা করবেন।

বৈঠকের আগে পুতিনের কূটনৈতিক চাল

সাক্ষাৎকারের ঠিক আগে পুতিন একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। উত্তর কোরিয়ার মিডিয়া অনুসারে, পুতিন কিম জংকে পশ্চিমা রাশিয়ায় মোতায়েন উত্তর কোরীয় সৈন্যদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা থেকে এটা স্পষ্ট যে পুতিন এখনও মার্কিন বিরোধী দেশগুলোর কাছ থেকে জোরালো সমর্থন পাচ্ছেন।

কিম জংয়ের সঙ্গে আলোচনায় সমীকরণ বদলাতে পারে

কিম জং পুতিনকে ভরসা দিয়েছেন যে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে এক নতুন স্তরে নিয়ে যাবেন। এর মানে হল উত্তর কোরিয়া কেবল কৌশলগত নয়, সামরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যেই রাশিয়াকে দূরপাল্লার মিসাইল এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।

উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার কৌশলগত সম্পর্কে নতুন মোড়

কূটনৈতিক ইঙ্গিত অনুসারে, পুতিন এখন শুধু যুদ্ধবিরতির চাপে নেই, বরং নিজের শর্তে সমঝোতা করতে চান। কিম জংয়ের সঙ্গে হওয়া আলোচনা এটাই প্রমাণ করে যে রাশিয়া, আমেরিকার চাপ মোকাবেলা করার জন্য তার মিত্রদের ব্যবহার করতে পারে। এটি আমেরিকা ঘনিষ্ঠ দেশ যেমন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

আমেরিকার ঘনিষ্ঠ দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টির কৌশল

যদি ট্রাম্প সাক্ষাতে পুতিনের উপর আরও বেশি চাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার মাধ্যমে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার উপর কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই দুটি দেশ আমেরিকার প্রধান সহযোগী এবং এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনকে এশিয়ায় অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে।

Leave a comment