ট্রাম্পের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বড় বয়ান। তিনি বলেছেন, আমেরিকার সেনারা ইউক্রেনে যাবে না। ন্যাটো সদস্যপদ এবং ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের আশা পূরণ হওয়াও অসম্ভব।
Russia-Ukraine War: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ একটানা চলছে। এই যুদ্ধ পুরো বিশ্বের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলেছে। আমেরিকা ও ইউরোপ এত দিন ধরে ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিল। কিন্তু এখন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন বয়ান ইউক্রেনের আশায় বড় ধাক্কা দেয়।
ট্রাম্পের স্পষ্ট বার্তা
একটি টিভি সাক্ষাৎকারে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সেনা ইউক্রেনে পাঠাবে না। তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এবং ক্রিমিয়াকে পুনরুদ্ধার করা এখন সম্ভব নয়।
আগে দিয়েছিলেন অন্য ইঙ্গিত
এর আগে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অনেক ইউরোপীয় নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর সাংবাদিকরা যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, তখন ট্রাম্প সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা বাতিল করেননি। সেই সময় মনে হচ্ছিল আমেরিকা কোনো না কোনো রূপে সরাসরি ইউক্রেনকে সাহায্য করতে পারে।
এখন কেন সুর বদল
ট্রাম্পের মতে, এই পরিবর্তন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এসেছে। আলাস্কায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর ট্রাম্প বলেছেন যে যুদ্ধের সমাধান যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) থেকে নয়, বরং সরাসরি শান্তি চুক্তি (Peace Agreement) থেকে বের হতে পারে।
ইউক্রেনের আশায় ধাক্কা
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় আশা ছিল যে আমেরিকা যে কোনো মূল্যে তাদের পাশে থাকবে। কিন্তু ট্রাম্পের এই বিবৃতির পর ইউক্রেন মনে করতে পারে যে তাদের সবচেয়ে বড় সহযোগী এখন পিছিয়ে যাচ্ছে। ন্যাটো সদস্যপদ এবং ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশাও দুর্বল হয়ে গেছে।
ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্পের মনোভাব
ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদান এখন প্রায় অসম্ভব। রাশিয়া সবসময় ইউক্রেনের সদস্যপদের বিরোধিতা করে এসেছে। ট্রাম্পের এই বিবৃতি রাশিয়া জন্য বড় স্বস্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ ন্যাটো সদস্যপদ ইউক্রেনকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়।
ক্রিমিয়া ইস্যুতে বয়ান
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। পশ্চিমা দেশগুলো এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ইউক্রেন ক্রমাগত এটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু ট্রাম্প পরিষ্কার করে বলেছেন যে ক্রিমিয়াকে পুনরায় ফিরে পাওয়া এখন সম্ভব নয়।