উত্তর প্রদেশ সরকার সড়ক সুরক্ষা নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে “নো হেলমেট, নো ফুয়েল” (হেলমেট ছাড়া তেল নয়) অভিযান শুরু হয়েছে, যা ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে কোনও দ্বিচক্র যানের চালককে হেলমেট পরা ছাড়া পেট্রোল বা ডিজেল দেওয়া হবে না।
ইউপি নতুন নিয়ম: উত্তর প্রদেশে সড়ক সুরক্ষা কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য যোগী সরকার একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে সারা রাজ্যে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বিশেষ অভিযান শুরু করা হবে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য হল, জীবন রক্ষা, সবার সুরক্ষা। এই অভিযান ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এবং এটি জেলা পর্যায়ে জেলাশাসকের নেতৃত্বে জেলা সড়ক সুরক্ষা কমিটি (ডিআরএসসি)-এর সমন্বয়ে কার্যকর করা হবে। অভিযানের সময় পরিবহন বিভাগ, পুলিশ, রাজস্ব বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন একসঙ্গে মূল দায়িত্ব পালন করবে।
অভিযানের উদ্দেশ্য
এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য হল সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা এবং গুরুতর আঘাত কমানো। ইউপি সরকার বিশ্বাস করে যে হেলমেট কেবল আইনত প্রয়োজনীয়ই নয়, এটি নাগরিকদের জীবন রক্ষার বর্মও। মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেছেন যে এই নিয়মের উদ্দেশ্য মানুষকে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাদের নিরাপদ আচরণ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করা।
পুরো রাজ্যে কার্যকর হবে ‘প্রথমে হেলমেট, পরে জ্বালানি।’
এই অভিযান জেলা পর্যায়ে জেলাশাসকের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। জেলা সড়ক সুরক্ষা কমিটি (ডিআরএসসি)-এর সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অভিযানে পরিবহন বিভাগ, পুলিশ, রাজস্ব এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একসঙ্গে কাজ করবেন। তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ সচেতনতা ছড়ানোর দায়িত্ব নেবে। উত্তর প্রদেশের পরিবহন কমিশনার ব্রজেশ নারায়ণ সিং বলেছেন যে এই অভিযান সম্পূর্ণরূপে জনস্বার্থে। তিনি জানান যে যখন নাগরিকরা হেলমেট ছাড়া তেল পাবে না, তখন তারা দ্রুত এটিকে জীবনধারার অংশ করে নেবে।
তিনি তেল বিপণন সংস্থা এবং সমস্ত পেট্রোল পাম্প পরিচালকদের এই অভিযানে সক্রিয় সহযোগিতার আবেদন করেছেন। এর পাশাপাশি, খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগকে পেট্রোল পাম্প স্তরে সমন্বয় এবং নজরদারি নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকার বিশ্বাস করে যে এই অভিযান তখনই সফল হবে যখন এতে জনগণ এবং শিল্প জগৎ উভয়ই অংশগ্রহণ করবে। পেট্রোল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। নাগরিকদের কাছে আবেদন করা হয়েছে যে তারা এই অভিযানকে কেবল একটি নিয়ম নয়, বরং সুরক্ষার একটি অঙ্গীকার হিসাবে গ্রহণ করুক।