উত্তর প্রদেশ সরকারের বড় ঘোষণা: দিওয়ালির আগে ৩.৯৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তি

উত্তর প্রদেশ সরকারের বড় ঘোষণা: দিওয়ালির আগে ৩.৯৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তি

উত্তর প্রদেশ সরকার দিওয়ালির আগে ৩.৯৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তি বিতরণের ঘোষণা করেছে। পূর্ব-দশম এবং দশমোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে উপবৃত্তি পাবে, যার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা এবং শিক্ষায় ধারাবাহিকতা নিশ্চিত হবে।

UP News: উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার নবরাত্রি উৎসবের আগে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় উপহার ঘোষণা করেছে। এবার সরকার বৃত্তি বিতরণের সময় এগিয়ে দিয়েছে, যার ফলে ৩.৯৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী সরাসরি উপকৃত হবে। প্রথমবারের মতো এই পরিকল্পনা সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হবে, যেখানে আগে এটি ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হতো।

নবরাত্রিতে শিক্ষার্থীরা পাবে উপবৃত্তি

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন যে, এবার নবরাত্রিতে পূর্ব-দশম (নবম-দশম শ্রেণি) এবং দশমোত্তর (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) এর শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সুবিধা দেওয়া হবে। চলতি সেশনে উপবৃত্তি বিতরণ ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষার্থীদের সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানো হবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী প্রতিষ্ঠানে ১,৫০০ জন সুবিধাভোগীকে সরাসরি সুবিধা প্রদান করবেন। এর ফলে শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারে উৎসাহ ও আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করবে।

তিনটি বিভাগ মিলে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে

বৃত্তি প্রকল্পের পরিচালনায় অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ বিভাগ, সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগ এবং সমাজ কল্যাণ বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে। এবারের বিশেষ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সমস্ত বৃত্তি প্রকল্পে একরূপতা আনা। তিনটি বিভাগই সময়মতো বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি সমন্বিত কর্মসূচি তৈরি করেছে।

আগে এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায় গান্ধী জয়ন্তী অর্থাৎ ২রা অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী, এটি ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করা হচ্ছে।

বৃত্তির বিতরণ এবং সুবিধাভোগী শ্রেণী

এবার বৃত্তি প্রকল্পে পূর্ব-দশম এবং দশমোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসা সমস্ত আবেদনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে মোট ৩,৯৫,৬৪৬ জন শিক্ষার্থী সুবিধা পাবে।

সুবিধাভোগীদের মধ্যে অনগ্রসর শ্রেণীর ২,৬০,৬৪৬ জন শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেখানে বাকি শিক্ষার্থীরা তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, সংখ্যালঘু এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর হবে।

বৃত্তি বিতরণের শুরুতে ১,৫০০ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি সুবিধা প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাকি শিক্ষার্থীদের বৃত্তির অর্থ প্রদান করা হবে। প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরাও দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হবে।

বৃত্তি থেকে শিক্ষার্থীরা সরাসরি উপকৃত হবে

বৃত্তি প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের শিক্ষায় ধারাবাহিকতা প্রদান করা। এই প্রকল্পের অধীনে উপবৃত্তি সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়, যার ফলে তাদের পরিবারও আর্থিক সহায়তা পায়।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা এবং প্রয়োজনের উপর মনোযোগ দিতে পারবে, যেখানে পরিবার আর্থিক বোঝা থেকে মুক্ত থাকবে। এর ফলে বিশেষ করে অনগ্রসর শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং দরিদ্র শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা শিক্ষার ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাবে।

সময় মতো বিতরণের ফলে প্রভাব বাড়বে

এবার বৃত্তি বিতরণ সময় মতো করা হচ্ছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী, বই এবং অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য সময় মতো সাহায্য মিলবে। এর ফলে প্রকল্পের প্রভাব আরও ব্যাপক এবং ইতিবাচক হবে।

যোগী সরকার জানিয়েছে যে, বৃত্তি বিতরণে উন্নতি এবং সময় মতো অর্থ প্রদানের ফলে শিক্ষার্থীদের মনোবল বাড়বে। এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে আগামী বছরগুলোতে আরও ভালো ফল পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

অনগ্রসর শ্রেণী এবং সংখ্যালঘু কল্যাণের প্রচেষ্টা

অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) নরেন্দ্র কশ্যপ জানিয়েছেন যে, এই প্রকল্পে অনগ্রসর শ্রেণী এবং সংখ্যালঘু শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষায় সমান সুযোগ প্রদান এবং সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর শিশুদের এগিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা।

Leave a comment