অররিয়ার ভারত-নেপাল সীমান্তে পুলিশ একটি বাইক থামিয়ে ১৪.৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে, যা হাওয়ালার বলে জানা গেছে। বাইকের বিভিন্ন অংশে টাকাগুলি লুকানো ছিল। গ্রেফতার হওয়া যুবক একটি সংগঠিত হাওয়ালা চক্রের সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
অররিয়া: ভারত-নেপাল সীমান্ত এলাকায় হাওয়ালা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি নেপাল পুলিশ জোগবনীর मटेড়ুয়া পোস্টে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকাসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। যুবকটি তার বাইকের বিভিন্ন অংশে টাকাগুলি লুকিয়ে রেখেছিল। এই গ্রেফতারির ফলে এলাকায় সক্রিয় হাওয়ালা পাচারকারীদের কর্মকাণ্ড প্রকাশ পেয়েছে।
নেপালে হাওয়ালার অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ডিএসপি কপিলা চুড়াল-এর মতে, নেপালের বিরাটনগর ওয়ার্ড নং ১৮-এর বাসিন্দা বীরেন্দ্র সাহকে নেপালে প্রবেশ করার সময় গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বাইক নম্বর কো.৩৮প.৫৮৫১ ব্যবহার করে নেপালের জোগবনী থেকে मटेড়ুয়ার দিকে যাচ্ছিল। তদন্তের সময় বাইকের টুল বক্স এবং অন্যান্য অংশ থেকে মোট ১৪.৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএসপি চুড়াল জানান যে, উদ্ধারকৃত অর্থ এবং অভিযুক্ত যুবককে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রানি থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশ মনে করছে যে, যুবকটি একটি সংগঠিত হাওয়ালা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত।
জোগবনী সীমান্তে হাওয়ালা পাচারের ঘটনা
জোগবনী সীমান্তে এই ধরনের হাওয়ালা পাচারের খবর প্রায়শই আসে। সম্প্রতি রানি পুলিশ বাইকের সিটের নিচে ১০ লক্ষ টাকা লুকিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় একজন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল। এছাড়াও, কিছুদিন আগে ৫ লক্ষ নেপালী টাকাসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার পর ভান্সার (কাস্টমস) কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, নেপাল ও ভারত সীমান্ত এলাকায় এই পাচার বড় আকারে পরিচালিত হচ্ছে। এই চক্রগুলির নেটওয়ার্ক ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং নেপালের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত।
হাওয়ালা ব্যবসায় নাবালকদের ব্যবহার
২০২৫ সালের জুন মাসে নেপাল পুলিশ বিরাটনগর থেকে ২১ লক্ষ হাওয়ালা টাকা নিয়ে যাওয়া এক নাবালককে গ্রেফতার করেছিল। এই ঘটনায় হাওয়ালা র্যাকেটের একটি বড় নেটওয়ার্কের পর্দাফাঁস হয়েছিল। নাবালকদের ব্যবহার করে অর্থ পাচারের এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, চক্রগুলি আইন ও পুলিশের অভিযানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সক্রিয় রয়েছে।
২০২৫ সালের মার্চ মাসেও এসএসবি ৫৬তম বাহিনীর জওয়ানরা জোগবনী বিওপি-এর কাছে ৪.২৮ লক্ষ নেপালী টাকাসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছিল। এই ধরনের ধারাবাহিক অভিযান সত্ত্বেও হাওয়ালা ব্যবসা রমরমা চলছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও হাওয়ালা পাচার রোধে অভিযান
নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, ভারত-নেপাল সীমান্তে সক্রিয় হাওয়ালা পাচারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে। জোগবনীর একজন স্থানীয় ব্যবসায়ী এই নেটওয়ার্কের মূল হোতা বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করা যায়।