উত্তর প্রদেশে ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ৩১ জন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এখন থেকে কোনো বুথে ১২০০ জনের বেশি ভোটার থাকতে পারবে না। এর উদ্দেশ্য হলো ভোট দেওয়ার সময় ভিড় এড়ানো এবং ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করা।
এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়বে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যায়। যদি এই নতুন নিয়ম লাগু হয়, তাহলে রাজ্যে প্রায় ১৯,৫০০টি নতুন বুথ বাড়তে পারে। ২০২২ সালে যেখানে মোট ১,৬২,৪৬২টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছিল, সেখানে এখন এই সংখ্যা বেড়ে ১,৮১,৯৬২ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। অর্থাৎ, পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন আগের চেয়ে আরও ব্যাপক স্তরে অনুষ্ঠিত হবে।
অখিলেশ যাদবের দাবি - পিডিএ ৯০% ভোট পাবে
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই প্রস্তুতি নিয়ে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'X' (পূর্বে টুইটার)-এ লিখেছেন,
পিডিএ প্রস্তুত, বিজেপির হার নিশ্চিত। যত বুথ বাড়বে, তত বেশি ভোট পড়বে এবং ৯০% ভোট পিডিএ পাবে।
অখিলেশের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, বিরোধী দল এই পরিবর্তনকে নিজেদের দিকে ঝুঁকতে দেখছে। তিনি দাবি করেছেন যে, বেশি বুথের মানে হলো বেশি ভোটদান, এবং এর সরাসরি সুবিধা ‘পিডিএ’ (পিছড়া, দলিত, সংখ্যালঘু) জোট পাবে।
বাড়বে ভোটারদের সুবিধা
বর্তমানে উত্তর প্রদেশে একটি বুথে ১৫০০ জন ভোটার থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ২০২৭-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে কমিশন এই সংখ্যা কমিয়ে ১২০০ করার পরিকল্পনা করছে। এতে শুধু ভিড় কম হবে না, ভোটারদেরও বেশি সুবিধা হবে।
২০২২ সালের নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে প্রায় ১৫.০৫ কোটি ভোটার ছিলেন, এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যায় বৃদ্ধি নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে বুথের সংখ্যা বাড়ানো প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকেও জরুরি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে ১,৪৭,১৪৮টি পোলিং সেন্টার ছিল, যা ২০২২ সালে বেড়ে ১,৭৪,৩৫১টি হয়েছিল। এখন নতুন মানদণ্ড অনুযায়ী এই সংখ্যা আরও উপরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।