উত্তর প্রদেশে বিদ্যালয় সংযুক্তিকরণ: শিক্ষা সংস্কার নাকি রাজনৈতিক চাল?

উত্তর প্রদেশে বিদ্যালয় সংযুক্তিকরণ: শিক্ষা সংস্কার নাকি রাজনৈতিক চাল?

উত্তর প্রদেশে পরিষদীয় বিদ্যালয়গুলির সংযুক্তিকরণ শিক্ষা সংস্কারের নামে করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলি এটিকে দরিদ্রদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাল মনে করছে। সপা 'পিডিএ' পাঠশালার মাধ্যমে এর বিরোধিতা করছে।

UP News: উত্তর প্রদেশে সম্প্রতি পরিষদীয় বিদ্যালয়গুলির সংযুক্তিকরণ নিয়ে রাজনীতি তুঙ্গে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সপা, বসপা এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি এটিকে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শিশুদের শিক্ষা থেকে দূরে সরানোর ষড়যন্ত্র বলছে। অন্যদিকে, যোগী আদিত্যনাথের সরকার এটিকে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির অংশ বলছে। এর মাঝে সপা বিশেষ কৌশল নিয়ে 'পিডিএ' অর্থাৎ পিছড়া, দলিত এবং সংখ্যালঘু সমাজের সমর্থন আদায়ের জন্য বিশেষ পাঠশালা শুরু করেছে।

স্কুল সংযুক্তিকরণে রাজনীতি কেন?

উত্তর প্রদেশে শিক্ষা সবসময় নির্বাচনী আলোচনার একটি অংশ। রাজ্যের প্রায় ১.৩২ লক্ষ বিদ্যালয়ে প্রায় ১.৯২ কোটি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। এখানে প্রায় ৪.৩৪ লক্ষ শিক্ষক, ১.৪ লক্ষ শিক্ষামিত্র এবং ২৫ হাজার প্রশিক্ষক রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষকের ৩০ থেকে ৩৫ জন ছাত্রের মধ্যে থাকা উচিত। যদিও এখনও পর্যন্ত ৫৯ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।

সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যে বিদ্যালয়গুলিতে ৫০ জনের কম ছাত্রছাত্রী রয়েছে, সেই স্কুলগুলিকে একত্রিত করা হবে। একইসঙ্গে এও বলা হয়েছে যে এক কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে থাকা স্কুলগুলির সংযুক্তিকরণ করা হবে না। সরকারের বক্তব্য, এতে সম্পদের সঠিক ব্যবহার হবে এবং শিক্ষার গুণগত মান বাড়বে। কিন্তু বিরোধী দলগুলি এই সিদ্ধান্তকে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সীমিত করার পদক্ষেপ মনে করছে।

সপার 'পিডিএ' পাঠশালা এবং বিরোধিতা

সপা প্রধান অখিলেশ যাদব এই স্কুল সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্তকে 'পিডিএ' অর্থাৎ পিছড়া, দলিত এবং সংখ্যালঘু শ্রেণীর বিরুদ্ধে বলেছেন। তিনি এটিকে নির্বাচনী কৌশলের অংশ করে গ্রামীণ এলাকায় 'পিডিএ' পাঠশালা শুরু করেছেন। এই পাঠশালাগুলিতে শিশুদের অক্ষর জ্ঞান দেওয়ার সময় সপা নেতাদের নাম 'এ' ফর অখিলেশ, 'ডি' ফর ডিম্পল এবং 'এম' ফর মুলায়ম শেখানো হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হল পিডিএ সম্প্রদায়ের মধ্যে সপার প্রতি সমর্থন জোরদার করা।

এই কৌশলের মাধ্যমে সপা আগামী বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্বাচনী ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। সপার ধারণা, স্কুলগুলির সংযুক্তিকরণের ফলে গ্রামে শিক্ষার সুযোগ কমবে, যার ফলে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যোগী সরকারের প্রতিক্রিয়া

যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সপার এই কৌশল বুঝতে পেরে কড়া জবাব দিয়েছে। সরকার সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্তকে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হিসাবে তুলে ধরেছে এবং বারবার এর পেছনের যুক্তিও স্পষ্ট করেছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী স্পষ্ট করে বলেছেন যে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য এই পদক্ষেপ জরুরি ছিল। একইসঙ্গে তিনি 'পিডিএ' পাঠশালাগুলির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

সুবাহাসপা প্রধান এবং পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভর বলেছেন যে সপার কাছে 'এ' মানে 'অরাজকতা', 'বি' মানে 'দুর্নীতি', 'সি' মানে 'চোর' এবং 'ডি' মানে 'দালালি'। তিনি সপা সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত জাতিগত রাজনীতি করা এবং উন্নয়নের নামে কোনো কাজ না করার অভিযোগ তুলেছেন।

শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি এবং চ্যালেঞ্জ

উত্তর প্রদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রটি ক্রমাগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষক-ছাত্রের অনুপাত সঠিক নয় এবং সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকারের বক্তব্য, স্কুলগুলির সংযুক্তিকরণের ফলে শিক্ষাগত সম্পদের আরও ভালো পরিচালনা হবে। সরকারের এও দাবি যে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলিতে বাল वाटিকাগুলির পরিচালনা जारी থাকবে ताकि छोटे बच्चों की पढ़ाई बाधित ना हो। हालांकि विपक्ष इसे शिक्षा की पहुंच कम करने वाला कदम बता रहा है।

Leave a comment