মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দিল্লিতে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করেছেন। এর ফলে উত্তর প্রদেশে নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগ এবং মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের জল্পনা বেড়েছে। আগস্টের আগে বড় সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
UP News: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দিল্লি সফরের পর উত্তর প্রদেশ বিজেপি সংগঠন এবং মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মনে করা হচ্ছে যে শীঘ্রই নতুন রাজ্য সভাপতির ঘোষণা এবং সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে পারে।
দিল্লি সফর থেকে জল্পনা বৃদ্ধি
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাম্প্রতিক দিল্লি সফর উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তিনি একই দিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎগুলো এমন সময়ে হয়েছে যখন উত্তর প্রদেশে রাজ্য সভাপতির পরিবর্তন এবং মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের আলোচনা জোরেশোরে চলছে।
তিন বড় নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের বার্তা
যোগী আদিত্যনাথ শনিবার দিল্লিতে প্রথমে জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শেষে অমিত শাহের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। যোগী এই সাক্ষাৎগুলোর ছবি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (পূর্বে টুইটার) শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে "বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা" বলে উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আন্তরিক मार्गदर्शन পেয়েছেন।
রাজ্য সভাপতির ঘোষণা শীঘ্রই সম্ভব
বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর অনুযায়ী, পার্টি রাজ্য সভাপতির নামের ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাছাকাছি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নতুন রাজ্য সভাপতির ঘোষণার অপেক্ষা চলছে। এখন মনে করা হচ্ছে যে আগস্টে শুরু হতে যাওয়া বিধানমন্ডলের বাদল অধিবেশনের আগে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই সময়ে বর্তমান রাজ্য সভাপতি ভূপেন্দ্র চৌধুরীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করারও আলোচনা চলছে।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ইঙ্গিত
রাজ্য সভাপতি নিয়োগের পরে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের প্রক্রিয়াও শুরু করা যেতে পারে। এর অধীনে বিজেপি জাতিগত ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল নিয়ে কাজ করতে পারে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে ધ્યાનમાં রেখে কিছু নতুন মুখকে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। পাশাপাশি পুরনো মন্ত্রীদের দফতরগুলোতেও রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।
সংগঠন মন্ত্রী ও অন্যান্য নেতাদেরও সক্রিয়তা
যোগী আদিত্যনাথের দিল্লি সফরের পাশাপাশি প্রদেশের অন্যান্য वरिष्ठ নেতারাও সক্রিয় ছিলেন। प्रदेश সংগঠন मंत्री ধর্মপাল সিং এবং प्रदेश अध्यक्ष ভূপেন্দ্র চৌধুরী বেরিলিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। এছাড়াও দুই উপমুখ্যমন্ত্রী—কেশব প্রসাদ মৌর্য এবং ব্রজেশ পাঠক—সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে पार्टी नेतृत्त्वের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সাক্ষাৎগুলোকেও সম্ভাব্য संगठनात्मक এবং प्रशासनिक রদবদলগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।
ধর্মান্তরকরণ নেটওয়ার্ক নিয়েও আলোচনা
মুখ্যমন্ত্রী যোগী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকগুলোর সময় प्रदेशে সম্প্রতি উদঘাটিত হওয়া ধর্মান্তরকরণের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক এবং তাতে জড়িত সংস্থাগুলো সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবগত করা হয়েছে, যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে সরকার রাজ্যে ধর্মান্তরের মামলাগুলোর বিষয়ে আরও কঠোর মনোভাব নিতে চলেছে।