যোগী আদিত্যনাথের 'মণ্ডলওয়ার সংলাপ': জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়ের নতুন উদ্যোগ

যোগী আদিত্যনাথের 'মণ্ডলওয়ার সংলাপ': জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়ের নতুন উদ্যোগ

উত্তর প্রদেশে জনপ্রতিনিধি এবং আধিকারিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা দেখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ 'মণ্ডলওয়ার সংলাপ' শুরু করেছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ শোনা হচ্ছে এবং আধিকারিকদের জবাবদিহি করা হচ্ছে।

CM Yogi: উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে গত কিছুদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সংঘাত শাসন ব্যবস্থায় অনেক প্রশ্ন তুলেছে। যেখানে একদিকে বিধায়ক ও মন্ত্রীরা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, উপেক্ষা এবং অসহযোগিতার অভিযোগ করছেন, वहीं दूसरी ओर अधिकारी जनप्रतिनिधियों द्वारा अनुचित दबाव बनाने की शिकायतें कर रहे हैं। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ একটি নতুন উদ্যোগ নিয়ে 'মণ্ডলওয়ার সংলাপ' শুরু করেছেন, যাকে একটি বড় প্রশাসনিক পরীক্ষা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

জনপ্রতিনিধিদের অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে

গত কয়েক মাসে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এমন খবর এসেছে যেখানে জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের দপ্তরের আধিকারিকদের ব্যবহারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জ্বালানি মন্ত্রী এ.কে. শর্মা তো এমনকি এও বলেছেন যে তাঁর দপ্তরের আধিকারিকরা ফোন পর্যন্ত ধরেন না। वहीं महिला एवं बाल कल्याण राज्य मंत्री प्रतिभा शुक्ला ने कानपुर पुलिस के खिलाफ धरना देकर प्रशासनिक व्यवस्था पर गंभीर सवाल उठाए।

বিধায়ক ও সাংসদরা বারবার অভিযোগ করেছেন যে আধিকারিকরা তাঁদের কথা শোনেন না, উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করেন না এবং খেয়ালখুশি মতো সিদ্ধান্ত নেন। कई बार तो जनता की समस्याएं लेकर पहुंचने पर जनप्रतिनिधि खुद को असहाय महसूस करते हैं। এই অসন্তোষের প্রভাব সরাসরি সরকারের ভাবমূর্তির ওপর পড়ে, जिसे अब योगी सरकार गंभीरता से ले रही है।

সিএম যোগীর 'ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ' পরিকল্পনা

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পরিস্থিতি বুঝে আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার সেতু তৈরি করতে মণ্ডলওয়ার বৈঠক শুরু করেছেন। এই 'মণ্ডলওয়ার সংলাপ'-এর অধীনে তিনি নিজে সংশ্লিষ্ট মণ্ডলের সাংসদ, বিধায়ক ও আধিকারিকদের সঙ্গে একই মঞ্চে বসে কথা বলছেন। এই বৈঠকগুলোর উদ্দেশ্য শুধু অভিযোগ শোনা নয়, বরং উভয় পক্ষকে একসঙ্গে বসিয়ে সমাধান বের করাও।

প্রথম কয়েকটি বৈঠকেই বড় সিদ্ধান্ত দেখা গেছে। কানপুর, চিত্রকূট ও ঝাঁসি মণ্ডলে প্রায় ১৯,০০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এই প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধানে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিশ্চিত করতে হবে এবং উদ্বোধনী ফলকে তাঁদের নাম প্রধানভাবে দেখাতে হবে।

বিধায়কদের অভিযোগ, অফিসারদের সাফাই

অনেক বিজেপি বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে অভিযোগ করেছেন যে জেলাগুলোতে থাকা ডিএম, এসডিও এবং বিভাগীয় আধিকারিকরা তাঁদের কথাকে গুরুত্ব দেন না, যার ফলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এক বিধায়ক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, 'আমরা জনগণের প্রতিনিধি, কিন্তু যখন জনগণের স্বার্থে অফিসারদের কাছে কাজের কথা বলতে যাই, তখন আমাদেরকেই উপেক্ষা করা হয়।'

অন্যদিকে, আধিকারিকদের বক্তব্য হল জনপ্রতিনিধিরা অনেক সময় নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করানোর জন্য চাপ দেন। सचिवालय कर्मचारी संघ के एक सदस्य ने कहा कि मुख्यमंत्री ने अधिकारियों को स्पष्ट निर्देश दिए हैं कि वे निष्पक्ष और बिना दबाव के काम करें, लेकिन जनप्रतिनिधि अकसर इस पर नाराज होते हैं। ऐसे में दोनों पक्षों के बीच सामंजस्य जरूरी है।

মন্ত্রীরাও অসহায়, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

infrastructure and industry minister Nand Gopal Gupta Nandi's letter to the Chief Minister recently went viral on social media, in which he accused the officials of his department of ignoring orders and discriminating. প্রযুক্তি শিক্ষা মন্ত্রী আশিষ প্যাটেলও তাঁর দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তাঁরা জেনেবুঝে তাঁর দল আপনা দল (এস)-কে কালিমালিপ্ত করার জন্য সরকারি সম্পদের অপব্যবহার করছেন।

মাঠ পর্যায়ে পরিবর্তনের আশা

রাজ্য মন্ত্রী প্রতিভা শুক্লা, যিনি সম্প্রতি তাঁর এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে ধরনায় বসেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, 'যোগীজি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং আধিকারিকদের জবাবদিহি করেছেন। আমাদের জেলার ডিএম ও এসডিও পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা আশা করি এর ফলে মাঠ পর্যায়ে পরিবর্তন দেখা যাবে।'

ভবিষ্যতের রণনীতি: সংলাপের মাধ্যমে সমাধান

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এই পদক্ষেপ শুধু বর্তমান সংকট সমাধানের জন্য নয়, বরং এটি ২০২৬ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবেও ধরা হচ্ছে। বিজেপি এটা ভালো করে জানে যে যদি জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা একমত হয়ে কাজ না করেন, তাহলে এর ক্ষতি দলের ভাবমূর্তি ও জনসমর্থনে পড়তে পারে।

Leave a comment