মঙ্গলবার দুপুরে এক তরুণীর পুকুরে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাগদত্তার সঙ্গে কথোপকথনের সময় বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির পর এই ঘটনা ঘটে। মৃতার পরিবারের সদস্যরা বাগদত্তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অভিযোগ এনেছেন। পুলিশ বাগদত্তাকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার বিবরণ
তেহসা গ্রামের বাসিন্দা মোনি (মৃত অর্জুনের কন্যা)-এর বিবাহ অযোধ্যার বাসিন্দা তরুণ ও অমনের সঙ্গে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পরও তারা প্রায়ই দেখা করত। ঘটনার দিন মোনি ঘাস কাটতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, তখনই আমনও সেখানে পৌঁছায়। কথোপকথনের সময় তারা পুকুরের ধারে চলে আসে এবং বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, আমন মোনিকে লাথি-ঘুষি দিয়ে আক্রমণ করে। এই সময় সে ভারসাম্য হারিয়ে গভীর পুকুরে পড়ে যায়।
পুকুরে ডুবে যাওয়ার সময় মোনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করে, কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। আশেপাশে থাকা লোকজন আওয়াজ শুনে পৌঁছায়, কিন্তু জলে ডুবে যাওয়ার কারণে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ পুকুরে জাল ফেলে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশি পদক্ষেপ ও পারিবারিক অভিযোগ
পুলিশ সুপার সত্যেন্দ্র কুমার সিং জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং প্রাথমিক রিপোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোনির পরিবারের সদস্যরা স্পষ্টভাবে বলেছেন যে এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। তাদের অভিযোগ, যুবকটি ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দিয়েছে, যার ফলে মোনি পুকুরে পড়ে যায় এবং তার মৃত্যু হয়। পরিবার এই ঘটনায় কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে