অভিষেক বচ্চনের মজাদার জবাব, ঐশ্বর্যাকে নিয়ে ওঠা গুজবে মুখ খুললেন অভিনেতা

অভিষেক বচ্চনের মজাদার জবাব, ঐশ্বর্যাকে নিয়ে ওঠা গুজবে মুখ খুললেন অভিনেতা

অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনের প্রেম কাহিনী বলিউড এর সবচেয়ে আলোচিত এবং পছন্দের গল্পগুলির মধ্যে গণনা করা হয়। তাঁদের সম্পর্ক ২০০০-এর দশকে বিকশিত হতে শুরু করে, যখন তাঁরা ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মুজাফ্ফর আলীর চলচ্চিত্র 'উমরাও জান'-এ একসঙ্গে কাজ করেন।

বিনোদন: বলিউডের অন্যতম আলোচিত দম্পতি অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন প্রায়শই আলোচনায় থাকেন। তাঁদের বিবাহের ১৭ বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও, তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে নানা ধরনের গুজব প্রায়ই শোনা যায়। কখনও তাঁদের আলাদা হওয়ার খবর আসে, আবার কখনও বিবাহবিচ্ছেদের আলোচনা শুরু হয়। তবে, এবার অভিষেক বচ্চন এই খবরগুলির প্রতিক্রিয়া জানানোর যে ধরন দেখিয়েছেন, তা সবাইকে চুপ করিয়ে দিয়েছে।

আসলে, ২০১৬ সালে যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত খবর ছড়াতে শুরু করে যে অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা আলাদা হতে চলেছেন, তখন অভিষেক বচ্চন তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে এই গুজবের কড়া জবাব দেন। তিনি টুইটারে লেখেন: "ঠিক আছে... তাহলে আমি ডিভোর্স নিচ্ছি? আমাকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ! আপনারা কি আমাকে বলবেন আমি আবার কবে বিয়ে করছি?" তাঁর এই মজাদার পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং ভক্তরাও তাঁর প্রশংসা করেন যে কীভাবে তিনি এত গুরুতর গুজবকে মজার ছলে সামলেছেন।

ভক্তরা অভিষেকের প্রশংসা করেন

অভিষেকের এই জবাব গসিপ এবং নেতিবাচকতা ছড়ানো লোকেদের জন্য একটি উপযুক্ত জবাব ছিল। অনেক ভক্ত লিখেছেন যে অভিষেকের এই হাস্যরসবোধ তাঁর শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের পরিচয় দেয়। কেউ বলেছেন যে এত বছর ধরে অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা একে অপরের হাত ধরে আছেন, এটিই তাঁদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শক্তি।

অভিষেক এবং ঐশ্বর্যার সম্পর্ক ২০০৬ সালে 'উমরাও জান' এবং 'ধুম ২'-এর সময় বেড়ে ওঠে। প্রথমে তাঁরা ভালো বন্ধু ছিলেন এবং পরে বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। ২০০৭ সালে তাঁদের বিবাহ সারা দেশে শিরোনাম তৈরি করে। ঐশ্বর্যা এবং অভিষেকের জুটিকে মানুষ সবসময় পছন্দ করেছে এবং আজও এই দু'জনকে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে প্রিয় দম্পতিদের মধ্যে গণ্য করা হয়।

পরিবারের উপর প্রভাব

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে এই ধরনের মিথ্যা খবর এবং গুজব কেবল তাঁর জন্য নয়, তাঁর পরিবারের জন্যও মানসিকভাবে খুব কষ্টকর। তিনি বলেন, "আপনি আমি নন, আপনি আমার জীবন যাপন করেন না। এটা খুবই বিরক্তিকর।" তিনি আরও যোগ করেন যে, যখন পরিবারে সন্তান থাকে, তখন এই ধরনের কথার প্রভাব আরও বেশি হয়। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেনামে বসে থাকা লোকেরা যখন মিথ্যা কথা লেখে, তখন তারা কল্পনাও করতে পারে না যে এর কারণে অন্যজন কতটা আঘাত পেতে পারে।

অভিষেক আরও বলেন যে, অনেক সময় মিথ্যা গুজব নিয়ে সাফাই দেওয়া বা সেগুলোকে ঠিক করা কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, "যে কোনো মানুষ, যতই শক্তিশালী হৃদয়ের অধিকারী হোক না কেন, এই ধরনের কথা তাকে ভেতর থেকে ভেঙে দেয়।" তাঁর মতে, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু না ভেবেই লিখে দেয়, তাদের একবার হলেও এটা ভাবা উচিত যে তাদের সাথে এমনটা ঘটলে তাদের কেমন লাগবে।

ঐশ্বর্যারও পূর্ণ সমর্থন পাওয়া যায়

ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনও প্রতি মুহূর্তে অভিষেককে সমর্থন করেছেন। দু'জনেই প্রায়শই একে অপরের সাফল্যে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। কোনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যাওয়া হোক বা মেয়ে আরাধ্যা-র স্কুলের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া, তাঁরা দু'জনেই একটি দলের মতো থাকেন। এই কারণেই, হাজারো গুজবের পরেও তাঁদের সম্পর্ক আজও মজবুত রয়েছে।

অভিষেকের মজাদার কিন্তু সঠিক জবাবের পর ভক্তরাও স্বস্তি পেয়েছেন যে তাঁদের পছন্দের জুটি একসঙ্গে আছে এবং সুখে আছে। এই জবাব সেই সমস্ত গুজব সৃষ্টিকারীদের জন্য একটি শিক্ষা যে, তথ্য প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা ছড়ানো কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করার শামিল, যা ঠিক নয়।

Leave a comment