OPEC+ সিদ্ধান্তে তেলের দামে उछাল: নভেম্বর থেকে উৎপাদন বাড়বে সামান্যই

OPEC+ সিদ্ধান্তে তেলের দামে उछাল: নভেম্বর থেকে উৎপাদন বাড়বে সামান্যই

OPEC+ নভেম্বর থেকে তেল উৎপাদনে প্রতিদিন মাত্র ১.৩৭ লাখ ব্যারেল সামান্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ১% বেড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড ৬৫.১৬ ডলার এবং ডব্লিউটিআই (WTI) ৬১.৪৬ ডলার প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে। সীমিত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-সৌদি মতবিরোধকে মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

অপরিশোধিত তেলের দাম: ৬ অক্টোবর, OPEC+ নভেম্বর থেকে তেল উৎপাদনে প্রতিদিন মাত্র ১.৩৭ লাখ ব্যারেল সামান্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরপরই অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ১% বেড়ে যায়, ব্রেন্ট ক্রুড ৬৫.১৬ ডলার এবং ডব্লিউটিআই (WTI) ৬১.৪৬ ডলার প্রতি ব্যারেলে পৌঁছায়। বিশ্লেষকদের মতে, OPEC+-এর সীমিত উৎপাদন বৃদ্ধি, রাশিয়া এবং সৌদি আরবের মধ্যে উৎপাদন নিয়ে মতবিরোধ এবং বৈশ্বিক সরবরাহ বিঘ্নের কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে, পাশাপাশি জি৭ (G7) দেশগুলির রাশিয়াকে চাপ দেওয়াও তেলের দামকে প্রভাবিত করছে।

OPEC+-এর উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত

OPEC+ গোষ্ঠী, যার মধ্যে রাশিয়া এবং অন্যান্য ছোট তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত, নভেম্বর থেকে তেল উৎপাদনে প্রতিদিন মাত্র ১.৩৭ লাখ ব্যারেল সামান্য বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিমাণ অক্টোবরে করা বৃদ্ধির সমান। এই পদক্ষেপটিকে বাজারে সম্ভাব্য সরবরাহ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং দাম কমার প্রবণতা রোধ করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই সীমিত উৎপাদন বৃদ্ধি বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য নেওয়া একটি সতর্কতামূলক সিদ্ধান্ত। যদি উৎপাদন আরও বেশি বাড়ত, তাহলে অপরিশোধিত তেলের দামের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারত এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য অনিশ্চয়তা বাড়তে পারত।

মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ

বিশ্লেষক টিনা টেং (Tina Teng) বলেছেন যে অপরিশোধিত তেলের দামে এই বৃদ্ধি মূলত OPEC+-এর সীমিত উৎপাদন বৃদ্ধির কারণেই ঘটেছে। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তেলের দাম স্থিতিশীল নাও থাকতে পারে। মন্দার কারণে চাহিদা হ্রাস পেতে পারে এবং এর ফলে দামে ওঠানামা দেখা যেতে পারে।

এছাড়াও, রাশিয়া এবং সৌদি আরবের মধ্যে উৎপাদন স্তর নিয়ে মতবিরোধের খবরও সামনে এসেছে। রাশিয়া উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পক্ষে ছিল, যাতে দামের উপর চাপ না পড়ে। অন্যদিকে, সৌদি আরব বাজারের অংশীদারিত্ব বাড়াতে অধিক উৎপাদনের পক্ষে ছিল। এই মতবিরোধ বিনিয়োগকারী এবং বাজার বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহের কারণে তেলের দামের উপর চাপ

ইউক্রেনের পক্ষ থেকে রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনাগুলিতে সাম্প্রতিক হামলা এবং আমেরিকা ও ইউরোপ দ্বারা রাশিয়া ও ইরানের উপর আরোপিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে সরবরাহ প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলিও বাজারে অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে OPEC+-এর এই সতর্ক পদক্ষেপ তেলের সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।

সাতটি উন্নত দেশের (G7) অর্থমন্ত্রীরাও সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে রাশিয়াকে চাপ বাড়ানোর জন্য তারা সেই দেশগুলির উপর কঠোরতা আরোপ করবে যারা রাশিয়ান তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে বা নিষেধাজ্ঞাগুলি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করছে। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ভবিষ্যতে দামে ওঠানামা আনতে পারে।

বিনিয়োগকারীদের নজর তেলের বাজারের দিকে

তেলের দামে সামান্য বৃদ্ধির পর বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। ব্রেন্ট ক্রুড এবং ডব্লিউটিআই (WTI)-তে এই উল্লম্ফনকে বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখা হয়েছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই বৃদ্ধির পর বিনিয়োগকারীরা সম্ভাব্য লাভের জন্য বাজারের দিকে নজর রাখবেন।

বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস যে OPEC+-এর এই সিদ্ধান্ত দামকে ভারসাম্যপূর্ণ করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ। সীমিত উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাগুলির প্রভাবের কারণে বাজারে ওঠানামা অব্যাহত থাকতে পারে।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার পরিস্থিতি অপরিশোধিত তেলের দামের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। চাহিদা হ্রাস, বাণিজ্য এবং শিল্পে মন্থর গতির কারণে দামের অস্থিরতা বাড়তে পারে। তাই বিনিয়োগকারী এবং বাজার বিশেষজ্ঞদের নজর ক্রমাগত তেলের বাজারের উপর রয়েছে।

Leave a comment