আদার উপকারিতা: রান্নার অপরিহার্য মশলা হলেও আদা আসলে এক অসাধারণ ওষুধি উপাদান। কলকাতার পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকরের মতে, কাঁচা আদা হজমে সাহায্য করে, রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় ও খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ আদা চিবোলে পাচক এনজাইম সক্রিয় হয়, যা খাবার হজমে ও অম্বল কমাতে কার্যকর ভূমিকা নেয়।
হজমশক্তি ও অম্বল দূরীকরণে আদার ভূমিকা
আদায় এমন কিছু প্রাকৃতিক যৌগ আছে যা পাচক এনজাইম ও লালাকে সক্রিয় করে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং বদহজম বা গ্যাসের সমস্যা কমে।বিশেষজ্ঞরা জানান, অল্প পরিমাণ আদা চিবোনো বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং অম্বল রোধে সহায়ক।
রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর
পুষ্টিবিদদের মতে, আদায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী যৌগ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।এছাড়া এটি ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ (LDL) কমিয়ে ‘ভালো কোলেস্টেরল’ (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকে।
প্রদাহ, ব্যথা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে আদা
আদায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ শরীরে সংক্রমণ ও প্রদাহ কমায়। জয়েন্ট পেইন, আর্থ্রাইটিস বা গলা খুশখুশের মতো সমস্যায় আদার রস বিশেষ উপকারী।এক কাপ উষ্ণ পানিতে আদা কুচি ফোটালে তৈরি হয় প্রাকৃতিক প্রতিষেধক পানীয়, যা সর্দি-কাশি ও মৌসুমি অসুখ দূরে রাখে।
কাঁচা আদা খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দিনে ২–৩ গ্রাম কাঁচা আদা যথেষ্ট। এটি সরাসরি চিবিয়ে খাওয়া, চায়ে ফুটিয়ে নেওয়া বা সালাদে মেশানো যায়।
তবে অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা বা গ্যাসের ঝুঁকি বাড়তে পারে, তাই পরিমিত সেবনই সবচেয়ে ভালো উপায়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, অম্বল ও বদহজম দূর করতে আদার ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন কয়েক কুচি কাঁচা আদা চিবোলে হজমশক্তি বাড়ে, কোলেস্টেরল কমে ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি এক প্রাকৃতিক ‘ডিটক্স ফুড’, যা শরীরকে রাখে সুস্থ ও হালকা।