ঝোলেও আছেন, অম্বলেও আছেন’— মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্ধ অধীর

ঝোলেও আছেন, অম্বলেও আছেন’— মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্ধ অধীর
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

দুই নৌকোয় পা রাখা রাজনীতি নিয়ে সরব কংগ্রেস নেতা | তিনি কি সত্যিই বিজেপির বিরোধিতা করেন, না কি কৌশলে আরএসএস-বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন? তাঁর মন্তব্য, যিনি সকালে বিরোধীদের সুরে কথা বলেন, বিকেলে মোদীর প্রশংসা করেন, সেই নেত্রীর অবস্থান কখনও স্পষ্ট হতে পারে না।

ঝোলেও আছেন, অম্বলেও আছেন’— মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্ধ অধীর

তৃণমূল সুপ্রিমোর রাজনৈতিক দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন বহরমপুরের নেতা | ‘মুখ্যমন্ত্রী ঝোলেও আছেন, অম্বলেও আছেন’— এই উক্তি দিয়ে তীব্র কটাক্ষ শানান অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, দিদি একদিকে নিজেকে মোদী-বিরোধী বলে প্রচার করলেও, অন্যদিকে মোদীর বিরুদ্ধেও যেন কোমল মনোভাব দেখান। তাঁর কথায়, "বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মোদীকে চটাতে চান না, আবার বিরোধী জোটের মধ্যে নিজেকে অগ্রণী দেখাতে চান। এ এক অসাধারণ ‘স্মার্ট’ রাজনীতি, যার পিছনে রয়েছে কৌশলী নিরপেক্ষতার মুখোশ।

মোহন ভাগবতের নাম দিদির মুখে শোনা যায় না! প্রশ্ন তুললেন অধীর

আরএসএস-কে ঘিরে তৃণমূল নেত্রীর নীরবতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন | অধীর চৌধুরী সরাসরি প্রশ্ন তোলেন— আপনারা কখনও দিদির মুখে মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে একটি শব্দ শুনেছেন? তিনি অভিযোগ করেন, আরএসএস হল দেশের সংবিধানের জন্য বিপজ্জনক, অথচ তৃণমূল নেত্রী কোনওদিন সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি। তাঁর মতে, এটা ইচ্ছাকৃত নীরবতা। এই চুপ করে থাকার অর্থ রাজনৈতিক বোঝাপড়া বা সম্ভাব্য গোপন আঁতাত হতে পারে।

শহিদ স্মরণে আরএসএসের প্রশংসা! চালাকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি অধীরের

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে রাজনৈতিক বার্তা, অভিযোগ কংগ্রেস নেতার | অধীর চৌধুরীর দাবি, শহিদ দিবসের মঞ্চ ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী আসলে আরএসএসের আদর্শকেই উৎসাহ দেন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর ভাষণে ‘জাতীয় নেতা’ ট্যাগ ব্যবহার করাও নেহাত কাকতালীয় নয় বলে মনে করেন অধীর। কটাক্ষের সুরে বলেন, খোলাখুলি শ্রদ্ধা জানাতে সমস্যা নেই, কিন্তু সেই শ্রদ্ধার আড়ালে যদি রাজনৈতিক সুবিধার হিসাব থাকে, তবে সেটাই উদ্বেগের বিষয়। তাঁর স্পষ্ট বার্তা— চালাকি না করে মুখ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন।

 বিহার ভোটার তালিকায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও তোপ অধীরের

নাগরিকত্বের প্রমাণের নামে ভোটাধিকার কাড়ার আশঙ্কা, বললেন অধীর | বিহারে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা সংশোধনের সিদ্ধান্তকেও তীব্র আক্রমণ করেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর মতে, নাগরিকত্ব প্রমাণের নামে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই নীতি বাস্তবায়িত হলে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়বেন প্রান্তিক, দরিদ্র এবং দলিত সমাজের মানুষজন। এটা ভারতের গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।” তাঁর প্রশ্ন— "নির্বাচন কমিশন কি নিরপেক্ষতা হারিয়েছে? নাকি শাসকের ইচ্ছায় চলা এক দপ্তরে পরিণত হয়েছে?

Leave a comment