মেয়ের ব্ল্যাকমেইলারকে খুন করে 'দৃশ্যম' স্টাইলে দেহ লোপাটের চেষ্টা: আগ্রায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা

মেয়ের ব্ল্যাকমেইলারকে খুন করে 'দৃশ্যম' স্টাইলে দেহ লোপাটের চেষ্টা: আগ্রায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা

আগ্রা পুলিশ ১৮ মাস আগের এক খুনের মামলায় কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, তিনি তাঁর মেয়ের ভিডিও ব্ল্যাকমেইলকারী ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে খুন করে शव खेत में পুড়িয়ে দেন। ঘটনাটি 'দৃশ্যম' সিনেমার মতো করে अंजाम দেওয়া হয়েছে।

আগ্রা: উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় একটি চাঞ্চল্যকর খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। পুলিশ ১৮ মাস আগের একটি মামলায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে, যিনি তাঁর ১৬ বছর বয়সী মেয়ের সুরক্ষার নামে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে খুন করেছিলেন। ঘটনাটি 'দৃশ্যম' সিনেমার কাহিনীর মতো একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত কিশোরের মৃতদেহ खेत में পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছিল, যার ফলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বিভ্রান্ত ছিল।

কিশোরীর ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনা

আগ্রার ডিসিপি রুলার অতুল শর্মা জানিয়েছেন যে কিশোরটি মালপুরা এলাকার বাসিন্দা ছিল এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিডিও তৈরি করার কাজ করত। ২০২৩ সালে সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর স্নানের ভিডিও তৈরি করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে। সে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল।

কিশোরী এই বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। বাবা প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেন, কিন্তু কিশোরের हरकत বন্ধ না হওয়ায় তিনি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাবার মতে, মেয়ের সুরক্ষার জন্য এমনটা করা জরুরি ছিল।

অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু

২০২৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরটি একটি বিয়েবাড়িতে যায় এবং তারপর নিখোঁজ হয়ে যায়। একই সময়ে, সানাইয়া থানা এলাকায় একটি অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়, কিন্তু তার পরিচয় জানা যায়নি। আদালতের নির্দেশে কিশোরের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় FIR দায়ের করে মামলার পুনরায় তদন্ত শুরু হয়।

প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ কিশোরীর বাবার দিকে যায়, কিন্তু তখন কোনো জোরালো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পুলিশ মৃত এবং অভিযুক্ত বাবার কল ডিটেইলস বের করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি খারি নদীর আশেপাশে কল লোকেশন পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করায়, যেখানে মৃত কিশোরের পরিচয় নিশ্চিত হয়।

অভিযুক্ত বাবার গ্রেফতার

মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে। জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করে যে সে ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে কিশোরকে দোকানে ডেকে মফলার এবং তার দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর সে মৃতদেহ खेत में পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে।

পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্ত বাবা দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পরিকল্পনাও করছিল, যাতে সে এই ঘটনা থেকে বাঁচতে পারে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে IPC-র ৩০২ (খুন), ২০১ (প্রমাণ লোপাট), ১২০বি (ষড়যন্ত্র) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ব্ল্যাকমেইল এবং হুমকির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে

ডিপিসি সাধারণ জনগণকে আবেদন করেছেন যে কোনো ধরনের ব্ল্যাকমেইল, হুমকি বা উত্ত্যক্ত করার ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান। এই ঘটনাটি আগ্রা এবং আশেপাশের এলাকায় শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

পরিবার এবং সমাজের উচিত এই ধরনের ঘটনা থেকে সতর্ক থাকা এবং শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এই ঘটনা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ডিজিটাল মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের ফলে গুরুতর অপরাধের ঝুঁকি বাড়ছে।

Leave a comment