ইউপি-তে রেকর্ড ব্যয়ে নতুন লিংক এক্সপ্রেসওয়ে: আগ্রা-লখনউ ও গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েকে জুড়বে

ইউপি-তে রেকর্ড ব্যয়ে নতুন লিংক এক্সপ্রেসওয়ে: আগ্রা-লখনউ ও গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েকে জুড়বে

উত্তর প্রদেশে আগ্রা-লখনউ এবং গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েকে সংযোগকারী নতুন লিংক এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এটি রাজ্যের সবচেয়ে ব্যয়বহুল লিংক এক্সপ্রেসওয়ে হবে, যার আনুমানিক ব্যয় ৭,৫০০ কোটি টাকা এবং প্রতি কিলোমিটার ব্যয় ৮০-৮৩ কোটি টাকা। এই এক্সপ্রেসওয়ে উন্নত সংযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।

লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে: উত্তর প্রদেশ সরকার রাজ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক এবং সংযোগ শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন লিংক এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করছে। এটি আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েকে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সংযুক্ত করবে। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার হবে এবং এটি রাজ্যের সবচেয়ে ব্যয়বহুল লিংক এক্সপ্রেসওয়ে হবে। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ৭,৫০০ কোটি টাকা, অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটার ৮০-৮৩ কোটি টাকা। এই হাই-টেক এক্সপ্রেসওয়েতে আধুনিক সেতু, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং বেড়া দেওয়ার মতো সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা যাত্রী এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্য উপকারী প্রমাণিত হবে।

ইউপি-এর সবচেয়ে ব্যয়বহুল লিংক এক্সপ্রেসওয়ে

উত্তর প্রদেশে একটি নতুন লিংক এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে, যা প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্দেশ্য হল উন্নত সংযোগ এবং দ্রুত ভ্রমণ নিশ্চিত করা। এই প্রকল্পটি আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়েকে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সাথে সরাসরি সংযুক্ত করবে। এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯০ কিলোমিটার হবে এবং এটি রাজ্যের সবচেয়ে ব্যয়বহুল লিংক এক্সপ্রেসওয়ে হিসাবে পরিচিত হবে।

এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ৭,৫০০ কোটি টাকা। প্রতি কিলোমিটার ব্যয় প্রায় ৮০-৮৩ কোটি টাকা হবে। এর তুলনায়, গোরক্ষপুর লিংক এক্সপ্রেসওয়ের মোট ব্যয় ছিল ৭,৩০০ কোটি টাকা।

উচ্চ প্রযুক্তি এবং আধুনিক সুবিধা

এই লিংক এক্সপ্রেসওয়েকে হাই-টেক করার জন্য এতে অনেক উন্নত সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে অত্যাধুনিক জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তার পাশে বেড়া দেওয়া হবে যাতে প্রাণীরা রাস্তা পার হতে না পারে। মোট ২৯টি প্রধান সেতু নির্মাণ করা হবে। এর নির্মাণে গ্রিনফিল্ড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

এই ধরনের সুবিধার কারণে এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় বেড়েছে। এটি কেবল রাস্তা নয়, বরং আধুনিক প্রযুক্তি এবং সুরক্ষার একটি মিশ্রণ হবে।

যাত্রী এবং স্থানীয়দের জন্য সুবিধা

এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শুধু স্থানীয় যাত্রী নয়, দিল্লি থেকে পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং বিহার পর্যন্ত যাতায়াতকারী যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। ফারুখাবাদ এবং আশেপাশের জেলার মানুষের জন্য উন্নত সংযোগ নিশ্চিত হবে। এটি কৃষি এবং স্থানীয় শিল্পের উন্নয়নেও সহায়তা করবে।

রাস্তাটি তৈরি হলে সময় বাঁচবে এবং যান চলাচলের গতি বাড়বে। স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে।

উত্তর প্রদেশের প্রধান এক্সপ্রেসওয়ে

উত্তর প্রদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে, যার মধ্যে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, সম্প্রতি গোরক্ষপুর লিংক এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েও নির্মিত হয়েছে। এগুলি রাজ্যের সড়ক নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে।

এই এক্সপ্রেসওয়েগুলির মাধ্যমে ব্যবসা এবং পরিবহনের গতি বেড়েছে। নতুন লিংক এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ আরও ভালোভাবে সংযুক্ত হবে।

আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান

এই লিংক এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুততর হবে। এটি আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। কৃষি-ভিত্তিক শিল্প এবং ছোট ব্যবসাগুলি এর থেকে উপকৃত হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ে কৃষি এবং শিল্প অঞ্চলগুলিকে আরও ভালোভাবে সংযোগ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এই প্রকল্পটি উত্তর প্রদেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করবে। আঞ্চলিক এবং জাতীয় উভয় স্তরেই এর গুরুত্ব থাকবে।

Leave a comment