অনিল আম্বানির রিলায়েন্স পাওয়ারের বড় পদক্ষেপ: ইন্দোনেশিয়ার কয়লা কোম্পানিতে অংশীদারি বিক্রি, ১২ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি

অনিল আম্বানির রিলায়েন্স পাওয়ারের বড় পদক্ষেপ: ইন্দোনেশিয়ার কয়লা কোম্পানিতে অংশীদারি বিক্রি, ১২ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি

অনিল আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি কয়লা কোম্পানিতে তাদের ১০০% অংশীদারি ১.২ কোটি ডলারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চুক্তি ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এই সংস্থাগুলির রিলায়েন্স পাওয়ারের মোট সম্পত্তিতে অবদান খুবই কম ছিল, তাই এটিকে একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

অনিল আম্বানি: রিলায়েন্স পাওয়ার সোমবার ঘোষণা করেছে যে তারা ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি কয়লা কোম্পানিতে তাদের সম্পূর্ণ অংশীদারি বিক্রি করার চুক্তি করেছে। এই চুক্তিটি বায়োট্রাস্টার (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে করা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই চুক্তি থেকে সংস্থা মোট ১২ মিলিয়ন ডলার পাবে। রিলায়েন্স পাওয়ার জানিয়েছে যে এই সংস্থাগুলি গত আর্থিক বছরে কোনো আয় করেনি এবং মোট সম্পত্তিতে তাদের অবদান ছিল মাত্র ০.৫৩%, তাই এই পদক্ষেপ কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

অনিল আম্বানির বড় চুক্তি

অনিল আম্বানির রিলায়েন্স পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পাঁচটি কয়লা কোম্পানিতে তাদের অংশীদারি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় সংস্থা তাদের ১০০% অংশীদারি ১.২ কোটি ডলারে বিক্রি করছে।

সংস্থার দুটি সহযোগী সংস্থা এই চুক্তির জন্য বায়োট্রাস্টার (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে শেয়ার ক্রয় চুক্তি করেছে। এই চুক্তিটি ২০২৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।

কোন সংস্থাগুলি জড়িত

রিলায়েন্স পাওয়ার তাদের অংশীদারি পিটি অবনীশ কোল রিসোর্সেস, পিটি হেরাম্বা কোল রিসোর্সেস, পিটি সুমুখা কোল সার্ভিসেস, পিটি ব্রায়ান বিন্টাং তিগা এনার্জি এবং পিটি শ্রীবিজয়া বিন্টাং তিগা এনার্জিতে বিক্রি করেছে।

সংস্থা স্পষ্ট করেছে যে এই সংস্থাগুলির গত আর্থিক বছরে কোনো আয় ছিল না এবং মোট সম্পত্তিতে তাদের অবদান ছিল ০.৫৩%। এই কারণে এটিকে কৌশলগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

কেন এই চুক্তিটি বিশেষ

রিলায়েন্স পাওয়ার জানিয়েছে যে ক্রেতা বায়োট্রাস্টারের সংস্থার প্রবর্তক গোষ্ঠীর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এটি কোনো সম্পর্কিত পক্ষ লেনদেন নয়।
এছাড়াও, এই চুক্তিটি সেবির তালিকাভুক্তির বাধ্যবাধকতা এবং প্রকাশনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে করা হচ্ছে এবং এটি মন্দা বা বাধ্যতামূলক বিক্রয়ের অংশ নয়।

চুক্তির আর্থিক তথ্য

চুক্তি সম্পন্ন হলে রিলায়েন্স পাওয়ার মোট ১২ মিলিয়ন ডলার পাবে। এই পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকার সমান। সংস্থা জানিয়েছে যে এই পদক্ষেপটি কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে নেওয়া হয়েছে কারণ এই সংস্থাগুলির মোট অবদান খুবই কম ছিল। এটি সংস্থার একত্রিত সম্পদের ০.৫৩% পর্যন্ত অনুমান করা হয়েছে।

শেয়ার বাজারে প্রভাব

এই ঘোষণার পর শেয়ার বাজারে রিলায়েন্স পাওয়ারের শেয়ারে সামান্য ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। আজ শেয়ার ১.৫ শতাংশ বেড়ে ৪৫.৪৩ টাকায় লেনদেন হচ্ছিল। সেনসেক্সও প্রায় ২০০ পয়েন্ট বেড়ে ৮০,৬২২ পয়েন্টে পৌঁছেছে।

সংস্থা ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপটি ভবিষ্যতে মনোযোগ পরিবর্তন এবং সম্পদের পুনর্বণ্টনের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। অনিল আম্বানির নেতৃত্বে রিলায়েন্স পাওয়ার এখন তাদের মূল ব্যবসা এবং অন্যান্য কৌশলগত ক্ষেত্রগুলিতে মনোযোগ দেবে।

Leave a comment