ইজরায়েল-হামাস সংঘাত: যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক

ইজরায়েল-হামাস সংঘাত: যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক

গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত তীব্র হয়েছে। আমেরিকা ও ইজরায়েলের নেতাদের বৈঠকে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে, যার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হবে।

ইজরায়েল-গাজা পরিকল্পনা: গাজায় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় তাদের সম্প্রসারণ অভিযান চালাচ্ছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। এর মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হতে চলেছে। এই বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গাজায় যুদ্ধের পরিস্থিতি শেষ করার দাবি জোরালো হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুসারে, এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাধারণ নাগরিকদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিবৃতি

ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজের 'দ্য সানডে ব্রিফিং' অনুষ্ঠানে বলেছেন যে তাঁর দেশ আমেরিকার সঙ্গে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়নি, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দলের সঙ্গে কাজ চলছে। নেতানিয়াহু বলেছেন যে তিনি আশা করেন ভবিষ্যতে এটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তাঁর এই বিবৃতি এমন সময়ে এসেছে যখন গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে চাপ বাড়ছে।

হোয়াইট হাউসের বৈঠক

গুজব রয়েছে যে সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে ট্রাম্প সংঘাত শেষ করার জন্য একটি নতুন প্রস্তাব ভাগ করে নিতে পারেন। আরব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই প্রস্তাবে ২১ দফা পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামাস কর্তৃক আটক সকল বন্দীর মুক্তি এবং গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর পর্যায়ক্রমিক প্রত্যাহার। বর্তমানে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরে তাদের সম্প্রসারণ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাসিন্দাদের দক্ষিণে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

গাজায় পরিস্থিতি এবং নাগরিকদের অবস্থা

গাজায় চলমান সংঘাতের কারণে সাধারণ নাগরিকদের পরিস্থিতি গুরুতর রয়েছে। শহরগুলিতে বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণের ফলে মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিবেদন অনুসারে, আহত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। খাদ্য ও জলের মতো মৌলিক সুবিধার অভাবে নাগরিকদের দুর্দশা আরও বেড়েছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতিক্রিয়া

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন যে গাজায় তাঁর লোকেরা ২০২৩ সালে ইজরায়েলে হামাসের হামলাকে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজায় হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। আব্বাস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে জানিয়েছেন যে গাজার মানুষ ইজরায়েলের দ্বারা "গণহত্যা, ধ্বংস, অনাহার এবং বাস্তুচ্যুতি"-এর সম্মুখীন হচ্ছে।

Leave a comment