আহমেদাবাদ সেশন আদালতে রায়ে ক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি বিচারকের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারেন। বিচারক শান্ত থেকে তাকে যেতে দেন এবং কর্মীদের কোনো পদক্ষেপ নিতে নিষেধ করেন।
আহমেদাবাদ: গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের সেশন আদালতে মঙ্গলবার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ এক আপিলকারী বিচারকের দিকে জুতো ছুঁড়ে মারেন। পুলিশ জানায় যে এই ঘটনাটি শুনানির সময় ঘটেছিল এবং জুতোটি সরাসরি বিচারকের কাছে পৌঁছেছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথেই, আদালতের কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে ধরতে এগিয়ে যান। তবে, বিচারক শান্তি ও সংযমের পরিচয় দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং বলেন যে তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।
বিচারক সহনশীলতা দেখালেন
পুলিশ জানিয়েছে যে ওই ব্যক্তি রায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রাগান্বিত অবস্থায় জুতো ছুঁড়ে মারে। আপিলকারীকে আদালতের কর্মীরা আটকান, কিন্তু বিচারক তাকে চলে যেতে নির্দেশ দেন। আদালতের কর্মীদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে কোনো প্রকারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
এই ঘটনাটি বিচার ব্যবস্থায় সংযম ও শান্তির উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিচারক তার দায়িত্বের অধীনে আইন ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছেন।
সুপ্রিম কোর্টেও একই ঘটনা ঘটেছিল
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের সামনেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ৭১ বছর বয়সী আইনজীবী রাকেশ কিশোর অভিযোগত জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও পুলিশ তাকে তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আইনজীবীকে তার জুতো ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাকে আদালত চত্বর থেকে বিদায় জানানো হয়। এতে স্পষ্ট হয় যে বিচার ব্যবস্থায় এই ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনার সময় সংযম ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
বিচার ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি দেখায় যে আদালতগুলিতে নিরাপত্তা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। আপিলকারী বা আইনজীবীদের দ্বারা আদালতে অনিয়ন্ত্রিত আচরণ কেবল শুনানির প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে না বরং বিচারকদের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি তৈরি করতে পারে।
তাই পুলিশ ও আদালত প্রশাসন কঠোর নজরদারি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালত চত্বরে ক্যামেরা, সিকিউরিটি গার্ড এবং অ্যালার্ট সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।