কলকাতা: Artificial Intelligence-এর ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা নিয়ে ওপেন এআই সিইও স্যাম অল্টম্যানের মন্তব্য বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। একটি টিভি শো-তে তিনি জানান, কাস্টমার সার্ভিস সেক্টরের চাকরি প্রথমে AI-এর কোপ খাবে। ফোন বা কম্পিউটারে যে সাপোর্ট দেওয়া হয়, তা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও দক্ষভাবে করতে পারবে। এরপর প্রোগ্রামারদের চাকরিও ঝুঁকিতে পড়বে।
কোন পেশায় সবচেয়ে ঝুঁকি
অল্টম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী, ঐতিহাসিকভাবে প্রতি ৭৫ বছরে প্রায় ৫০% চাকরির ধরন বদলেছে। তবে এই বার পরিবর্তন হবে অনেক দ্রুত। কাস্টমার কেয়ার, প্রোগ্রামিং এবং সাধারণ রুটিন কাজের চাকরিতে AI-এর প্রভাব সর্বোচ্চ। বাংলার সল্টলেক ও নিউ টাউন-এর আইটি ও বিপিও হাবগুলিতে চাকরি-প্রভাব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
মানবিক পেশা ও নিরাপত্তা
বিশেষজ্ঞদের মতে, নার্সিং, থেরাপি এবং অন্যান্য মানবিক সংযোগ নির্ভর পেশা AI-এর জন্য অপ্রভাবিত থাকবে। গার্টনারের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রায় অর্ধেক কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারে। তবে মানবিক সেবা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
স্যাম অল্টম্যানের চিন্তাভাবনা
অল্টম্যান জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির ব্যবহারের নৈতিক দায়িত্ব তার কাঁধে। ছোট ভুলও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমি রাতে ভালো ঘুমাতে পারি না’। এই সতর্কবার্তা প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
বাংলার তরুণ প্রজন্মের জন্য এখন থেকেই নতুন দক্ষতা অর্জন ও পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অত্যাবশ্যক। AI-র দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া না গেলে কর্মসংস্থানে বড় প্রভাব পড়তে পারে।
Artificial Intelligence: স্যাম অল্টম্যানের সতর্কবার্তা চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কাস্টমার সার্ভিস ও প্রোগ্রামিং-এর মতো চাকরি ঝুঁকিতে থাকলেও মানবিক পেশা নিরাপদ। তরুণ প্রজন্মকে নতুন দক্ষতা অর্জন এবং AI-র সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। বিস্তারিত ও হালনাগাদ তথ্যের জন্য নিউজ পোর্টাল চেক করুন।