AIMIM RJD-র প্রমুখ লালু যাদবকে চিঠি লিখে ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। দলটি ধর্মনিরপেক্ষ ভোটের বিভাজন রোধ করার কথা বলেছে।
বিহার রাজনীতি: ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ততই বাড়ছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এবং বিরোধী মহাজোটের মধ্যে সরাসরি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে, অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (AIMIM) রাজনৈতিক আলোচনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। AIMIM, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)-এর প্রধান লালু প্রসাদ যাদবকে চিঠি লিখে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, দলটি মহাজোটে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
AIMIM-এর চিঠি: ঐক্য এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আবেদন
AIMIM-এর বিহার সভাপতি আখতারুল ইমাম লালু যাদবকে একটি চিঠি লিখে বলেছেন যে, তাঁর দল ধর্মনিরপেক্ষ ভোটের বিভাজন বন্ধ করতে চায়। তাঁর মতে, ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আটকাতে সকল ধর্মনিরপেক্ষ দলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। তিনি লিখেছেন যে, AIMIM-এর শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল নির্বাচনের সময় ধর্মনিরপেক্ষ ভোটের বিভাজন না হয়।
আগেও জোটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছে
চিঠিতে AIMIM আরও জানিয়েছে যে, তাঁরা ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনেও মহাজোটে যোগ দিতে চেয়েছিল। যদিও সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। এবার আবারও, দলটি স্পষ্টভাবে বলেছে যে তারা ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে মহাজোটের অংশ হতে চায়।
সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার দাবি
আখতারুল ইমাম চিঠিতে লিখেছেন যে, তিনি এই বিষয়ে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলের অনেক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথাও বলেছেন। এই আলোচনা মৌখিক এবং টেলিফোনে হয়েছে। AIMIM মনে করে, যদি এই জোট হয়, তবে এটি কেবল রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব হবে না, বরং একটি কৌশলগত এবং আদর্শ-ভিত্তিক ঐক্য হবে, যার লক্ষ্য সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করা।
AIMIM-এর ভূমিকা এবং প্রভাব
AIMIM-এর বিহারে রাজনৈতিক প্রভাব সীমিত হলেও, কিছু অঞ্চলে দলটির ভিত্তি মজবুত হয়েছে। বিশেষ করে সীমাঞ্চল অঞ্চলে AIMIM গত নির্বাচনে তাদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করেছে। কিছু বিধানসভা আসনে দলটি জিতেছেও। তাই AIMIM-এর এই প্রস্তাব কেবল প্রতীকী নয়, বরং কৌশলগতভাবে মহাজোটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।