বিজেপি'র 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' নীতি: অখিলেশের আক্রমণ, মন্ত্রী রাজভরের বাড়িতে এবিভিপির বিক্ষোভ

বিজেপি'র 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' নীতি: অখিলেশের আক্রমণ, মন্ত্রী রাজভরের বাড়িতে এবিভিপির বিক্ষোভ

এবিভিপি মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজভরের বাসভবনে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয় এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। অখিলেশ যাদব বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তারা নিজেদের সহযোগীদের ব্যবহার করে সরিয়ে দেয়।

ইউপি পলিটিক্স: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে শাসক ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তাদের সহযোগীদের মধ্যে উত্তেজনার খবর শিরোনামে। এই পরিস্থিতিতে, সমাজবাদী পার্টির (এসপি) জাতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদব বিজেপি-র উপর তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। অখিলেশ অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি নিজেদের সহযোগী এবং তাদের সাথে যুক্ত সংগঠনগুলোকে 'ইউজ অ্যান্ড থ্রো' নীতিতে ব্যবহার করে।

অখিলেশ যাদবের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) কর্মীরা সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)-র সভাপতি এবং রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ওম প্রকাশ রাজভরের বাড়ির সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

রাজভরের বাড়িতে এবিভিপির বিক্ষোভ

বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ওম প্রকাশ রাজভর এক বিবৃতিতে এবিভিপি কর্মীদের "গুন্ডা" বলে আখ্যা দেন। এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ এবিভিপি কর্মীরা তাঁর বাসভবনের সামনে স্লোগান ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এই সময়ে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল ছোড়া এবং যানবাহনে ভাঙচুরের খবরও সামনে আসে।

রাজভরের ছেলে অরুণ রাজভর এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে একটি ভিডিও বার্তা জারি করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে বিক্ষোভকারীরা কেবল কটু বাক্যই বলেনি, বরং রাজভর পরিবার এবং ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মীদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেছে।

অখিলেশ যাদবের সরাসরি আক্রমণ

এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অখিলেশ যাদব বলেন যে বিজেপি নিজেদের সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিজেদের মধ্যে লড়াই করাচ্ছে। তিনি বলেন যে বিজেপি-র কৌশল হলো প্রথমে সহযোগীদের ব্যবহার করা এবং যখন তাদের প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়, তখন তাদের সরিয়ে দেওয়া।

অখিলেশ কটাক্ষ করে বলেন যে বিজেপি নিজেদের সহযোগীদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় যে তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যেতেও দ্বিধাগ্রস্ত হয়। তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ধীরে ধীরে তারা "রাজনৈতিকভাবে শেষ" হয়ে যায়।

‘টাকার লোভে আসা সহযোগী’

এসপি প্রধান আরও বলেন যে বিজেপি-র অনেক সহযোগী কেবল আর্থিক লাভ এবং ক্ষমতায় অংশগ্রহণের লোভে এই "भगवा পার্টি"-র সঙ্গে এসেছিলেন। কিন্তু এখন তারা অনুভব করছেন যে বিজেপি তাদের কখনই সম্মান দেবে না। অখিলেশ বলেন যে বিজেপি-র সাথে থেকে নেতারা তাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক করতে পারেন, কিন্তু রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্মান সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থেকে যায়।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

অখিলেশ যাদব একটি ভিডিও-ও শেয়ার করেছেন যেখানে পুলিশ কর্মীদের এবিভিপি কর্মীদের "ভাই" বলতে দেখা যাচ্ছে। তিনি এটিকে বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সাথে যুক্ত করে বলেন যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজেদের বাঁচাতে অধস্তন পুলিশ কর্মীদের সামনে ঠেলে দিচ্ছেন।

তিনি অভিযোগ করেন যে বড় কর্মকর্তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে কেবল "ইয়েস স্যার" বলেন, আর মাঠে ছোট পুলিশ কর্মীদের বিজেপি এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যেকার সংঘাত সামলাতে হয়।

এবিভিপির সাংবাদিক সম্মেলন

এই পুরো বিবাদ নিয়ে এখন সবার নজর এবিভিপির সাংবাদিক সম্মেলনের উপর। ছাত্র সংগঠনটি ঘোষণা করেছে যে তারা এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলবে। ধারণা করা হচ্ছে, এবিভিপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করবে এবং ওম প্রকাশ রাজভরের বিরুদ্ধে তাদের পরবর্তী কৌশল ঘোষণা করবে।

Leave a comment