মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে বিশেষ এবং শক্তিশালী বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় তার বন্ধু থাকবেন এবং ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।
ওয়াশিংটন: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ওঠা প্রশ্নগুলিকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার "চিরকালের বন্ধু" বলে অভিহিত করেছেন। সম্প্রতি ভারতকে চীনের হাতে হারানোর বক্তব্যের পর ট্রাম্প তার অবস্থান পরিবর্তন করে বলেছেন যে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত বিশেষ এবং এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
ট্রাম্প বলেছেন, মোদি একজন মহান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমার বন্ধু এবং সবসময় থাকবেন। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই বিশেষ এবং এতে কারো উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে এই মুহূর্তে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির কিছু সিদ্ধান্ত পছন্দ করছেন না, কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
বাণিজ্যিক চুক্তির দিকে ইঙ্গিত
মিডিয়ার সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প ভারত সহ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে অগ্রগতির তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন যে উভয় দেশের মধ্যে চুক্তির দিকে আলোচনা চলছে এবং নিকট ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন যে ইইউ মার্কিন কোম্পানিগুলির সাথে বৈষম্য করছে।
প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি টেক জায়ান্ট গুগলকে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছিল, এই অভিযোগে যে সংস্থাটি অনলাইন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি (AdTech) ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নষ্ট করেছে। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন যে ইইউ-এর এই পদক্ষেপ অনুচিত এবং আমেরিকা এটি সহ্য করবে না।
কয়েক দিন আগে ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন যে আমেরিকা ভারত এবং রাশিয়াকে চীনের হাতে হারিয়েছে। তার এই বক্তব্য ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। তবে, এখন তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তার মনে হয় না ভারত আমেরিকা থেকে দূরে সরে গেছে।
ট্রাম্প এই কথোপকথনে ভারত কর্তৃক রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়েও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন যে নয়াদিল্লি কর্তৃক রাশিয়ার তেল আমদানি বৃদ্ধি তাকে হতাশ করে এবং তিনি এই বিষয়ে ভারতকে তার অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই পদক্ষেপ আমেরিকার জন্য একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।