মেঘালয়ে হানিমুনে যাওয়া ইন্দোরের এক দম্পতির ঘটনা সামনে এসেছে। এই ঘটনায় স্বামী রাজা রঘুवंशीকে হত্যার ষড়যন্ত্র তার স্ত্রী সোনম রঘুवंशी নিজেই করেছিল। মেঘালয় পুলিশ এই মামলায় সোনম সহ মোট পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৭৯০ পৃষ্ঠার চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে।
শিলং: মেঘালয় পুলিশ রাজা রঘুवंशी হত্যা মামলায় ৭৯০ পৃষ্ঠার চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে। চার্জশিটে রাজার স্ত্রী সোনম রঘুवंशी এবং তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা সহ আরও তিন বন্ধুকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং এখন আদালতে পেশ করা চার্জশিট ঘটনার জটিল দিকগুলি উন্মোচন করেছে।
হানিমুনে গিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী
তথ্য অনুযায়ী, ২৬ মে ২০২৫ সালে ইন্দোরের এক দম্পতি, রাজা এবং সোনম রঘুवंशी, মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়েছিলেন। হঠাৎ তারা নিখোঁজ হয়ে যান। দ্রুত তল্লাশির পর ২ জুন ২০২৫ সালে রাজার লাশ মেঘালয়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। এর কিছুদিন পর, ৮ জুন ২০২৫ সালে সোনমকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিবরণ
মেঘালয় পুলিশের চার্জশিটে সোনমকে মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজার হত্যার সাথে তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা এবং তার তিন বন্ধু—বিশাল সিং চৌহান, আশীষ সিং রাজপুত এবং আনন্দ কুমার—কে জড়িত করা হয়েছে। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১০৩(১) ২৩৮ এ/৬১(২) এর অধীনে মামলা দায়ের করেছিল।
চার্জশিট অনুসারে, "২১ মে ২০২৫ সালে রাজা এবং সোনম মধ্য প্রদেশ থেকে শিলং পৌঁছায় এবং সোহরা যায়। ২৬ মে ২০২৫ সালে তারা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। দুজনের খোঁজে দ্রুত তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। ২ জুন ২০২৫ সালে রাজার লাশ গভীর খাদ থেকে উদ্ধার করা হয়।"
পুলিশের কাছে অনেক প্রমাণ
চার্জশিটে এও উল্লেখ করা হয়েছে যে পুলিশ অভিযুক্তদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সহ গ্রেফতার করেছিল। ফরেনসিক তদন্ত এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও, পুলিশ আরও কিছু ফরেনসিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছে। এই রিপোর্টগুলি আসার পর প্রপার্টি ডিলার সিলোম জেমস, বাড়িওয়ালা লোকেদ্র তোমার এবং নিরাপত্তা রক্ষী বলবীর আহিরবার-এর বিরুদ্ধেও চার্জশিট দাখিল করা হবে। এটি মামলার জটিলতা এবং নেটওয়ার্ককে উন্মোচন করে।
মেঘালয় পুলিশের এই চার্জশিট আদালতে পেশ করা বিচার প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আদালত এখন এই সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুনানি করবে। এই মামলায় দেশবাসীর নজর মেঘালয় এবং গাজীপুরের আদালতের উপর রয়েছে, কারণ এই মামলাটি সামাজিক এবং আইনগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল।