প্রয়াগরাজ: এলাহাবাদ হাইকোর্ট বস্তি জেলার এক ব্যক্তি কৃষ্ণ কুমার পাণ্ডের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী আদেশে আদালত অবমাননার (Contempt) অভিযোগ স্থির করেছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পাণ্ডে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, যা বিচার বিভাগের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
ঘটনাটি কী?
পাণ্ডে আইনজীবীদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মন্তব্য করেছিলেন যে, একজন এডিজে (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক)-এর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া, ভুয়ো আদেশ জারি করার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্যটি যাচাই করার পর দেখতে পায় যে, এই কাজটি আদালতের সম্মানহানি, আদালতকে ভয় দেখানো এবং তার ক্ষমতা খর্ব করার সমতুল্য।
আদালত স্থির করে যে এই মামলাটি “অপরাধমূলক অবমাননা”র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
আদালতের যুক্তি ও নির্দেশ
বিচারপতি জে জে মুনীর এবং বিচারপতি প্রমোদ কুমার শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে, পাণ্ডের মন্তব্যটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে—আদালতকে বদনাম করার উদ্দেশ্যে।
আদালত পাণ্ডেকে তার বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে।
আদালত এও নির্দেশ দিয়েছে যে, পেশাদার গ্রুপগুলিতে (যেমন আইনজীবী সমিতি) এবং অন্যান্য সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলিতে এই ধরনের অপব্যবহার রোধ করার জন্য সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
প্রভাব এবং সামনের পথ
এই ঘটনা বিচার বিভাগের স্বায়ত্তশাসন এবং মর্যাদার গুরুত্বকে পুনরায় সামনে নিয়ে আসে।
সামাজিক মাধ্যম / গ্রুপগুলিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং এর সীমার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা এখন আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।
পরবর্তী শুনানিতে এটি দেখা যাবে যে, অভিযুক্তের বক্তব্য কী হবে, এবং আদালত এই ঘটনাটিকে একটি উদাহরণ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে কিনা।