আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধি: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন জটিলতা

আমেরিকার শুল্ক বৃদ্ধি: ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন জটিলতা

আমেরিকা ভারতের উপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের নীতিকে আমেরিকা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন সতর্ক করেছে। ভারত তাদের জ্বালানি নীতি পরিবর্তন করতে অস্বীকার করেছে।

Trump Tariff: আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উত্তেজনা বাড়ছে। আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে তিক্ত করেছে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট বলেছেন, ভারত যদি তাদের নীতিতে পরিবর্তন না আনে, তাহলে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পও তার মনোভাব নরম করবেন না।

আমেরিকার ৫০ শতাংশ শুল্ক: কারণ কী?

আমেরিকা ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আগে থেকেই ছিল এবং আরও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি ভারত কর্তৃক রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে নেওয়া হয়েছে, যাকে আমেরিকা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থন হিসাবে দেখে। হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট বলেছেন যে এটি একটি জটিল সম্পর্ক এবং ভারতের অনমনীয়তার কারণে আমেরিকাকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া: 'আমরা আমাদের নীতি পরিবর্তন করব না'

ভারত আমেরিকার এই পদক্ষেপকে অনুচিত এবং অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন যে আমেরিকা যদি ভারত কর্তৃক রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে সমস্যা বোধ করে, তবে তারা ভারত থেকে পরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করে দিক। ভারত আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে তারা তাদের জ্বালানি নীতিতে কোনও প্রকার পরিবর্তন করবে না।

ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার সতর্কতা

হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কেভিন হ্যাসেট বলেছেন যে ভারত যদি তাদের নীতিতে পরিবর্তন না আনে, তাহলে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পও তার মনোভাব নরম করবেন না। তিনি বলেছেন যে এটি একটি জটিল সম্পর্ক এবং এর একটি অংশ রাশিয়াকে চাপ দেওয়ার আমাদের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত, যাতে ইউক্রেন-রাশিয়াকে নিয়ে শান্তি চুক্তি হতে পারে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।

ভারতের রণনীতি

ভারত ৪০টি দেশের সাথে বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউকে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও, ভারত সরকার রপ্তানিকারকদের আর্থিক সহায়তা এবং ক্রেডিট ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Leave a comment