৯ই জুলাই থেকে বিশ্ব বাণিজ্য অংশীদারদের উপর শুল্ক বাড়াচ্ছে আমেরিকা

৯ই জুলাই থেকে বিশ্ব বাণিজ্য অংশীদারদের উপর শুল্ক বাড়াচ্ছে আমেরিকা

৯ই জুলাই থেকে আমেরিকা বিশ্ব বাণিজ্য অংশীদারদের উপর শুল্ক বাড়াতে চলেছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চিঠি পাঠিয়ে শুল্কের হারগুলি জানাবেন। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

ট্রাম্প শুল্ক: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার থেকে বাণিজ্য অংশীদারদের শুল্ক হার সম্পর্কিত চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই চিঠির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশকে জানানো হবে যে তাদের আমেরিকাকে কত শুল্ক দিতে হবে। এই পদক্ষেপটি এপ্রিল মাসে ঘোষিত শুল্ক পরিকল্পনার অধীনে নেওয়া হচ্ছে, যেখানে অধিকাংশ অংশীদার দেশের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে, শুল্ক এড়ানোর চেষ্টা

ডোনাল্ড ট্রাম্প মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন যে আমেরিকা এখন শুল্কের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, "আমার ইচ্ছা হল চিঠি পাঠানো, যাতে দেশগুলো জানতে পারে তাদের কত শুল্ক দিতে হবে।"

উল্লেখযোগ্য যে, আমেরিকা সেই সমস্ত দেশগুলির উপর শুল্ক আরোপ করতে গুরুতর, যারা বাণিজ্য চুক্তির জন্য প্রস্তুত নয়। যদিও, যে দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে, তাদের ছাড় দেওয়া হতে পারে।

এপ্রিল মাসে শুল্কের ঘোষণা হয়েছিল

আমেরিকা এপ্রিল ২০২৫-এ একটি ব্যাপক শুল্ক পরিকল্পনার ঘোষণা করেছিল। এই পরিকল্পনার অধীনে আমেরিকার অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারদের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনাটি বিশেষ করে সেই দেশগুলির জন্য কঠিন ছিল, যারা ইতিমধ্যেই আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে।

তবে, সেই সময়ে আমেরিকা শুল্কের চূড়ান্ত সময়সীমা ৯ই জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছিল, যাতে দেশগুলিকে আলোচনার সুযোগ দেওয়া যায়। এখন যখন এই সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে, তখন দেশগুলির উপর চাপ বাড়ছে।

ব্রিটেন এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে

এখনও পর্যন্ত আমেরিকা কেবল দুটি দেশ, ব্রিটেন এবং ভিয়েতনামের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেছে। এই চুক্তিগুলির অধীনে উভয় দেশকে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের উপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, আমেরিকা এবং চীন অস্থায়ীভাবে একে অপরের পণ্যের উপর আরোপিত ভারী শুল্ক কমাতে সম্মত হয়েছে। এই পদক্ষেপটি বিশ্ব বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখার দিকে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

ভারতের সঙ্গে শীঘ্রই বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে

এই ঘটনার মধ্যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনাও বেড়েছে। সূত্রানুসারে, ভারত ও আমেরিকার কর্মকর্তারা বাণিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করছেন। এই চুক্তি উভয় দেশের জন্য কৌশলগত এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

যদি এই চুক্তি হয়, তাহলে ভারতও শুল্ক থেকে আংশিক বা সম্পূর্ণ ছাড় পেতে পারে। এর ফলে ভারতের রপ্তানিকারকরা মার্কিন বাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে।

শুল্ক আরোপ হলে কী প্রভাব পড়বে

যদি কোনো দেশ আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে না পারে, তবে তাকে ভারী শুল্কের সম্মুখীন হতে হতে পারে। এতে:

  • সেই দেশ থেকে আমেরিকায় রপ্তানির খরচ বাড়বে।
  • মার্কিন কোম্পানিগুলি সেই দেশগুলি থেকে পণ্য আমদানি করতে দ্বিধা করবে।
  • সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনীতিতে চাপ বাড়বে।
  • বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে অসামঞ্জস্যতা তৈরি হতে পারে।

Leave a comment