মমতাকে নিশানা অমিত শাহের: ‘অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লাল গালিচা পাতা হয়েছে’

মমতাকে নিশানা অমিত শাহের: ‘অনুপ্রবেশকারীদের জন্য লাল গালিচা পাতা হয়েছে’

অনুপ্রবেশ রাজনীতি: পটনায় আয়োজিত এবিপি নিউজ কনক্লেভে রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, গুজরাট, রাজস্থান বা অসমে অনুপ্রবেশ হয় না কারণ সেখানে বিজেপি সরকার আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে। শাহের দাবি, ২০২৬-এ বাংলায় বিজেপি সরকার এলেই রাজ্য সম্পূর্ণ অনুপ্রবেশমুক্ত হবে।

ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে জড়িত তৃণমূল প্রশাসন: অভিযোগ শাহের

অমিত শাহের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে প্রশাসন অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না। তিনি বলেন, “কোনও গ্রামে ২৫ জন নতুন মানুষ এলেও পাটওয়াড়ি বা থানার খবর থাকে। তবুও কিছু করা হয় না, কারণ উপরের নির্দেশ — এদের লাল কার্পেটে স্বাগত জানাও, এরা ভোট ব্যাঙ্ক।শাহের বক্তব্যে স্পষ্ট, কেন্দ্রের দৃষ্টিতে অনুপ্রবেশ এখন আর কেবল সীমান্ত সমস্যা নয়, বরং রাজনীতিকরণ করা এক গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যু।

মমতার বিরুদ্ধে তোপ: ‘নিজেকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে ভাবেন’

ভোটার তালিকা পরিমার্জন (SIR) নিয়ে মমতার মন্তব্যের জবাবে অমিত শাহ বলেন, “ওঁ (মমতা) নিজেকে সংবিধানের ঊর্ধ্বে ভাবেন। আমরা সংবিধানের চার কোণার মধ্যে থেকেই কাজ করি।” তাঁর এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।বিজেপি শিবিরের দাবি, মমতার প্রশাসনিক দাপটে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, আর সেই বিরুদ্ধেই এখন সরাসরি মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সীমান্তে পাহারা কঠিন, তবুও নজরদারি জোরদার: শাহ

অমিত শাহ বলেন, “বাংলাদেশ, কাশ্মীর বা পঞ্জাবের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকানো সহজ নয়। অনেক জায়গায় নদী, ঘন জঙ্গল, পাহাড়ি অঞ্চল — যেখানে কাঁটাতার বসানোই সম্ভব নয়। বর্ষায় গঙ্গার স্রোতে নজরদারি নৌকাও ভেসে যায়।তবে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ও ড্রোন নজরদারি ব্যবস্থার মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।

২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির কৌশল স্পষ্ট

শাহের এই মন্তব্যে ২০২৬ সালের রাজ্য নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক উত্তাপ তৈরি হয়েছে। বিজেপি মনে করছে, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে জনমত তাদের পক্ষে ঘুরবে। অন্যদিকে, তৃণমূল এই বক্তব্যকে “রাজনৈতিক প্রচারণা” বলে উড়িয়ে দিয়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাহের বক্তব্যে বিজেপির নির্বাচনী রণনীতি পরিষ্কার — জাতীয় নিরাপত্তা ও নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়েই তারা ভোটে নামবে।

‘বাংলা হবে অনুপ্রবেশমুক্ত’— আশ্বাস অমিত শাহের

অমিত শাহের বার্তা স্পষ্ট— “যদি বাংলার মানুষ চান অনুপ্রবেশ বন্ধ হোক, তবে দিদির সরকার ফেলে দিন। বিজেপি সরকার এলে আমরা বাংলাকে অনুপ্রবেশমুক্ত করে দেখাব।তিনি ভোটারদের আহ্বান জানান, রাজ্যের নিরাপত্তা, চাকরি ও সম্পদের স্বার্থে এবার তৃণমূলের পরিবর্তে বিজেপিকে সুযোগ দেওয়া উচিত।

পটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের ‘লাল গালিচা’ দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। তিনি বলেন, বিজেপি সরকার এলে বাংলাকে অনুপ্রবেশমুক্ত করা হবে।

Leave a comment