অনন্ত চতুর্দশী ২০২৫: পূজা বিধি, শুভ মুহূর্ত ও তাৎপর্য

অনন্ত চতুর্দশী ২০২৫: পূজা বিধি, শুভ মুহূর্ত ও তাৎপর্য

অনন্ত চতুর্দশী ২০২৫ এই বছর ৬ই সেপ্টেম্বর, শনিবার পালিত হবে। এই পর্ব ভগবান বিষ্ণুর অনন্ত স্বরূপ এবং মাতা লক্ষ্মীকে উৎসর্গীকৃত। এই দিনে গণেশ বিসর্জনও হয়। পূজার বিধিতে অনন্ত সূত্র বাঁধা, বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করা এবং শুভ মুহূর্তে বিধিपूर्वक পূজা করা অন্তর্ভুক্ত।

নয়াদিল্লি: অনন্ত চতুর্দশী ২০২৫ ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথি ৬ই সেপ্টেম্বর, শনিবার পড়েছে। এই পর্ব ভগবান বিষ্ণু ও মাতা লক্ষ্মীকে উৎসর্গীকৃত, সেই সঙ্গে গণেশ উৎসবের সমাপ্তিও এই দিনেই হয়। সারা দিন শুভ যোগ ও নক্ষত্র থাকবে, এবং সকাল ৫টা থেকে শুরু করে ৭ই সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ৪১ মিনিট পর্যন্ত পূজা করা উত্তম বলে মনে করা হয়। এই দিনে অনন্ত সূত্র বাঁধা, পঞ্চামৃত দিয়ে ঘোরানো, ধূপ-দীপ অর্পণ করা এবং বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করা পূজার প্রধান অংশ।

অনন্ত চতুর্দশী কখন শুরু হয়

ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথি ৬ই সেপ্টেম্বর গভীর রাত ৩টে ১২ মিনিটে শুরু হবে এবং ৭ই সেপ্টেম্বর গভীর রাত ১টা ৪১ মিনিটে শেষ হবে। এই দিনে দেশজুড়ে ভক্তরা অনন্ত চতুর্দশীর পর্ব পালন করেন। এই পর্ব ভগবান বিষ্ণুকে উৎসর্গীকৃত এবং এটিকে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও আশীর্বাদ পাওয়ার সুযোগ হিসেবে মনে করা হয়।

অনন্ত চতুর্দশীর দিনে লক্ষ্মী নারায়ণের পূজা করা হয়। এই দিনে রক্ষা সূত্রও বাঁধা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, মাতা লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর পূজা করলে জীবনে সুখ, সৌভাগ্য ও আর্থিক সমৃদ্ধি লাভ হয়।

অনন্ত চতুর্দশীর শুভ যোগ

এই বছর অনন্ত চতুর্দশীর দিনে সুকর্মা ও রবি শুভ যোগের নির্মাণ হবে। সেই সঙ্গে ধনিষ্ঠা ও শতভিষা নক্ষত্রের সংযোগও তৈরি হচ্ছে। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পূজা করার জন্য পুরো দিনটি শুভ বলে মনে করা হয়। সকাল ৫টা থেকে শুরু করে ৭ই সেপ্টেম্বরের গভীর রাত ১টা পর্যন্ত পূজা করার সময় উত্তম। ভক্তরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী এই সময়ে লক্ষ্মী নারায়ণ ও গণেশ জীর পূজা করতে পারেন। এই দিন বিশেষভাবে ধর্মীয় কাজকর্ম ও ব্রতের জন্য সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।

অনন্ত চতুর্দশী পূজা বিধি

অনন্ত চতুর্দশীর দিনে স্নান করার পরে পরিষ্কার ও শুভ বস্ত্র পরিধান করা উচিত। হলুদ বা সাদা রঙের কাপড় বিশেষভাবে শুভ বলে মনে করা হয়। পূজা স্থলে ভগবান বিষ্ণু ও গণেশ জীর প্রতিমা স্থাপন করুন। কাঠের চৌকিতে সিঁদুর দিয়ে ১৪টি তিলক তৈরি করুন। প্রতিটি তিলকের উপর পূয়া বা পুরি অর্পণ করা জরুরি। এরপর অনন্ত সূত্র তৈরি করুন এবং कपास বা রেশমের धागे দিয়ে ১৪টি গিঁট বাঁধুন। এটি ১৪টি লোকের প্রতীক বলে মনে করা হয়। অনন্ত সূত্রকে পঞ্চামৃতে পাঁচবার ঘোরান। এরপর ধূপ, দীপ, ফুল, ফল ও তুলসী অর্পণ করুন। শ্রী অনন্ত স্বরূপ বিষ্ণুর কথা শোনান এবং বিষ্ণু সহস্রনাম পাঠ করুন। পূজার পরে পুরুষ ডান হাতে এবং মহিলারা বাম হাতে অনন্ত সূত্র বাঁধুন। এই দিনে গণেশ জীর বিসর্জনও শ্রদ্ধাপূর্বক করা উচিত।

অনন্ত চতুর্দশীর নিয়ম

অনন্ত চতুর্দশীতে বাঁধা রক্ষা সূত্র কমপক্ষে এক বছর পর্যন্ত ধারণ করা উচিত। যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে কমপক্ষে ১৪ দিন পর্যন্ত এটিকে সরানো উচিত নয়। পূজার প্রথম ভাগ সকালের সময়ে নিয়মपूर्वक করা উত্তম। যদি কোনো কারণে সকালে পূজা করতে না পারেন, তাহলে সন্ধ্যার সময়ে প্রাথমিক মুহূর্তে পূজা বিধি অনুসারে করুন।

এই দিনে গণেশ জীর পূজা করাও আবশ্যক। কোনো তামসিক भोजन থেকে परहेज করা উচিত। পূজা ও ব্রতের সময় পূর্ণ শ্রদ্ধা ও ভক্তি ভাব বজায় রাখা উচিত।

অনন্ত চতুর্দশীর গুরুত্ব

অনন্ত চতুর্দশীর পর্ব ভগবান বিষ্ণুর অনন্ত স্বরূপকে উৎসর্গীকৃত। এটি অসীম শক্তি ও আস্থার প্রতীক। সেই সঙ্গে এই দিনে গণেশ উৎসবের সমাপ্তিও হয়। ভক্তরা গণেশ জীকে বিসর্জন করে তাঁর আশীর্বাদ ও সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করেন। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে যে ব্যক্তি এই দিনে ব্রত ও পূজা নিয়মपूर्वक করে, সে মনোवांछিত ফল লাভ করে। সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদও পাওয়া যায়।

অনন্ত চতুর্দশীর त्यौहार শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই পর্ব পরিবার ও সমাজে একতা ও सद्भावের বার্তা দেয়।

Leave a comment