বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-এর প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ও নেতা আকাশ আনন্দের শ্বশুর অশোক সিদ্ধান্ত, বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী-র কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি তাঁর অতীতের ভুলের জন্য মায়াবতী-র কাছে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি: উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-এর জন্য আবারও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ এবং দলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক সিদ্ধান্ত, যিনি আকাশ আনন্দের শ্বশুর, বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী-র কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দলে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপকে রাজ্য রাজনীতির সম্ভাব্য পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অশোক সিদ্ধান্তের ক্ষমা প্রার্থনা: ভুল স্বীকার করে ফেরার আবেদন
অশোক সিদ্ধান্ত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট X (পূর্বের টুইটার) এ একটি পোস্ট করে লিখেছেন যে তিনি দলীয় কার্যকালে কিছু ভুল করেছিলেন, যার জন্য তিনি মায়াবতী-র কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে ভবিষ্যতে তিনি আর কোনো ভুল করবেন না এবং সম্পূর্ণরূপে দলের শৃঙ্খলা ও মায়াবতী-র নির্দেশনায় কাজ করবেন।
তিনি বলেছেন, আমি অশোক সিদ্ধান্ত, বিএসপি প্রাক্তন সাংসদ, জাতীয় সভানেত্রী মায়াবতী-র প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার যে কোনো ভুল হয়েছে, তার জন্য আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে আমি কখনো ভুল করব না এবং দলের শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করব। পাশাপাশি, অশোক সিদ্ধান্ত আরও স্পষ্ট করেছেন যে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত অন্য নেতাদের ফিরিয়ে আনার জন্য কোনো সুপারিশ করবেন না, এবং কেবলমাত্র নিজের ভূমিকার উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবেন।
বহিষ্কারের কারণ কী?
উল্লেখ্য, মায়াবতী ২০১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অশোক সিদ্ধান্তকে দলবিরোধী কার্যকলাপ এবং গোষ্ঠীবাজির অভিযোগে বিএসপি থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। সেই সময় তিনি দলের বিশ্বস্ত নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং মায়াবতী-র ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে গণ্য হতেন। অশোক সিদ্ধান্ত রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, এছাড়াও তিনি বিধান পরিষদের (এমএলসি) সদস্যও ছিলেন।
তাঁর বহিষ্কারের পেছনের কারণ হিসেবে দলে গোষ্ঠীবাজি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন মায়াবতী-র প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি প্রকাশ্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন, যা তাঁর দলে ফেরার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
অশোক সিদ্ধান্তের এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে যখন তাঁর জামাতা আকাশ আনন্দকে বিএসপি-তে একটি বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আকাশ আনন্দ দলের যুব মুখ এবং সক্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত, যিনি সংগঠনে নতুন শক্তি এবং কৌশল নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বিএসপি-তে আকাশ আনন্দের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা এবং তাঁর পরিবারের পুনরায় দলে যুক্ত হওয়া, সংগঠনের অভ্যন্তরে ভারসাম্য তৈরির কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।