আশ্বিন মাস ২০২৫ আজ, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এবং চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এই মাসে পিতৃপক্ষ, শারদীয়া নবরাত্রি এবং অন্যান্য প্রধান উৎসব পালিত হবে। এই সময়ে ভক্তরা ইন্দ্রা একাদশী, জিতপুত্রিকা ব্রত, সর্বপিতৃ অমাবস্যা, দুর্গা অষ্টমী, মহা নবমী, বিজয়া দশমী এবং শরৎ পূর্ণিমার মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ও ব্রত পালন করে তাদের ধর্মীয় ভক্তি এবং পারিবারিক সুখ নিশ্চিত করতে পারেন।
আশ্বিন মাস: হিন্দু পঞ্জিকার সপ্তম মাস আজ, ৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এবং এটি ৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এই মাসে পিতৃপক্ষ, নবরাত্রি এবং অন্যান্য প্রধান উৎসব পালিত হয়। ভক্তরা এই সময়ে তাদের পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করবেন, দেবী দুর্গার পূজা-অর্চনা করবেন এবং ব্রত পালন করবেন। এই পবিত্র মাসটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ভক্তি এবং পারিবারিক কল্যাণের প্রচার করে।
পিতৃপক্ষ এবং শ্রাদ্ধ ঐতিহ্য
আশ্বিন মাসের শুরু হয় পিতৃপক্ষ দিয়ে, যা ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে ভক্তরা তাদের পূর্বপুরুষদের খাবার দান করেন এবং শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করে তাদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করেন। ২০২৫ সালে পিতৃপক্ষের প্রথম শ্রাদ্ধ ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
জিতপুত্রিকা ব্রত এবং ইন্দ্রা একাদশী
কৃষ্ণা পক্ষের অষ্টমী তিথিতে, ১৪ সেপ্টেম্বর জিতপুত্রিকা ব্রত পালিত হবে। মায়েরা তাদের পুত্রদের দীর্ঘ জীবন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ পূজা করেন। অন্যদিকে, কৃষ্ণা পক্ষের একাদশী, ইন্দ্রা একাদশী পালিত হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, যা পালন করলে পূর্বপুরুষেরা যমলোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান এবং सद्गति লাভ করেন।
সর্বপিতৃ অমাবস্যা এবং নবরাত্রি
২১ সেপ্টেম্বর পিতৃপক্ষের শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হল সর্বপিতৃ অমাবস্যা। এই দিন যারা পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করতে পারেননি, তারা বিধি অনুসারে শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করতে পারেন। তার পরের দিন, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শারদীয়া নবরাত্রি, নয় দিনের উৎসব যেখানে ভক্তরা দেবী দুর্গার উপাসনা করেন।
নবরাত্রি এবং প্রধান উৎসব
- সরস্বতী আবাহন: ২৯ সেপ্টেম্বর, নবরাত্রি পূজার প্রথম দিন।
- দুর্গা অষ্টমী: ৩০ সেপ্টেম্বর।
- মহা নবমী: ১ অক্টোবর।
- বিজয়া দশমী (দ sehra): ২ অক্টোবর।
- পাপাঙ্কুশা একাদশী: ৩ অক্টোবর।
- শরৎ পূর্ণিমা: ৬ অক্টোবর।
আশ্বিন মাসে এই উৎসব ও ব্রতগুলি ধর্মীয় ভক্তির পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বও বহন করে। ভক্তরা এই মাসে বিধি অনুসারে পূজা-অর্চনা করে তাদের পরিবার ও সমাজে সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারেন।