এশিয়া কাপ 2025-এর উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ হংকংকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে ২০ ওভারে ১৪৩ রানে আটকে দেয় তারা। এরপর ১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
স্পোর্টস নিউজ: এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। প্রথমে হংকংকে ১৪৩ রানে আটকে দেওয়ার পর, ১৭.৪ ওভারে লক্ষ্য পূরণ করে। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয় লাভ করে। অধিনায়ক লিটন দাস অপরাজিত ৫৯ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে, হংকং পরপর দ্বিতীয় হারের সম্মুখীন হলো।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতে কিছুটা সমস্যায় পড়ে। ২৪ রানে তাদের প্রথম উইকেট পতন হয় এবং ৪৭ রানের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেটটিও হারায়। এই পরিস্থিতিতে অধিনায়ক লিটন দাস এবং তৌহিদ হৃদয় সাবধানে ইনিংসের হাল ধরেন। লিটন দাস প্রথমদিকে কিছুটা ধীরে খেললেও, একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর তিনি দারুন ছন্দে ব্যাট করে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। তার এই দায়িত্বশীল ইনিংস বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
লিটন দাসের অসাধারণ অধিনায়কত্বপূর্ণ ইনিংস
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ধীর ছিল। ২৪ রানে প্রথম উইকেট এবং ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। এরপর অধিনায়ক লিটন দাস এবং তৌহিদ হৃদয় দায়িত্ব তুলে নেন। লিটন দাস প্রথমে সাবধানে খেলে নিজের ছন্দ খুঁজে নেন এবং মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন। এই সময়ে তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে ৯৫ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
দল যখন জয়ের থেকে মাত্র দুই রান দূরে, তখন লিটন দাস ৩৯ বলে ৫৯ রান করে আউট হন। তৌহিদ হৃদয় ৩৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দেন।
হংকংয়ের ব্যাটিং
হংকংয়ের ইনিংসে নিজাকত খান সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন, আর অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা ২৮ রানের একটি কার্যকরী ইনিংস খেলেন। তা সত্ত্বেও, দলটি ২০ ওভারে মাত্র ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। শুরুতেই বাংলাদেশ বোলাররা হংকংয়ের টপ অর্ডারকে চাপে ফেলে দেয়। পাওয়ারপ্লেতে হংকং ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩৪ রান সংগ্রহ করে।
ওপেনার জিশান আলি কিছু আকর্ষণীয় শট খেলেন এবং লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে অতিরিক্ত কভারের উপর দিয়ে একটি দারুণ ছক্কা মারেন। তবে, মুস্তাফিজুর রহমান দ্বাদশ ওভারে তাকে আউট করেন। অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে দলকে ১৪০ রানের কোটা পার করান। তার একটি পিকআপ শট সরাসরি স্ট্যান্ডে গিয়ে পড়ে, যা ম্যাচের অন্যতম আকর্ষণ ছিল।
বাংলাদেশী বোলারদের কামাল
বাংলাদেশের জয়ের মূল কারণ ছিল তাদের নির্ভুল এবং সুষম বোলিং। স্পিনার মেহেদী হাসান বোলিং শুরু করেন, আর ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ এবং তানজিম হাসান সাকিব নতুন বলে সুইং এবং সিমের চমৎকার ব্যবহার করে হংকংয়ের টপ অর্ডারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারেই अंशुমান রাঠকে (৪ রান) উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ আউট করান। অন্যদিকে, তানজিম হাসান সাকিব বাবর হায়াতকে (১২ রান) আউট করে হংকংকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন। পাওয়ারপ্লেতেই হংকংয়ের পথ কঠিন হয়ে যায়।
এরপর স্পিনাররা ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ বজায় রাখেন। ফাস্ট এবং স্পিন উভয় বিভাগেই সমন্বয়ের মাধ্যমে বোলাররা পুরো ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন। এটি হংকংয়ের এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয় হার।