প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর 100তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠিত। প্রধানমন্ত্রী মোদী अध्यक्ष থাকবেন। কমিটিতে 100+ নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং যুবকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
Atal Bihari Vajpayee: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতীয় রাজনীতির প্রবীণ নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর 100তম জন্মবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে ভারত সরকার একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কমিটিতে 100 জনেরও বেশি নেতা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মন্ত্রী, পাশাপাশি মিডিয়া এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, কমিটির প্রধান উদ্দেশ্য হল বাজপেয়ীজির 100তম জন্মবার্ষিকীর স্মরণে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা তৈরি করা, কর্মসূচি অনুমোদন করা এবং সেগুলি তত্ত্বাবধান করা। এছাড়াও, কমিটি জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য উপযুক্ত তারিখ এবং অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেবে। সরকার কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেবে।
কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত প্রধান ব্যক্তিত্ব
এই কমিটিতে রাজনীতি এবং সমাজের অনেক বড় নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাটিল এবং রামনাথ কোবিন্দ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদভানি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আরও অনেক রাজ্য প্রধান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
এছাড়াও মিডিয়া ক্ষেত্র থেকে ইন্ডিয়া টিভির এডিটর ইন চিফ রজত শর্মা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট সাংবাদিক কমিটির অংশ। এই তালিকা থেকে বোঝা যায় যে, অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মবার্ষিকীর আয়োজনে রাজনীতি, সমাজ এবং মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান উদ্দেশ্য
কমিটির প্রধান কাজ হল অটল বিহারী বাজপেয়ীর 100তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী কর্মসূচি এবং পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করা। কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত কর্মসূচিতে তাঁর অবদান, চিন্তা, কবিতা এবং বক্তৃতা বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে। এছাড়াও, কমিটি দেশের বিভিন্ন অংশে স্মারক অনুষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম আয়োজনের বিষয়ে मार्गदर्शन করবে।
কমিটি এটা নিশ্চিত করবে যে অটল বিহারী বাজপেয়ীর উত্তরাধিকার যেন যুবকদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়। এর অধীনে তাঁর নেতৃত্ব, দেশপ্রেম, কূটনীতি এবং সাহিত্যিক অবদানকেও প্রাধান্য দেওয়া হবে।
পরিকল্পনা ও কর্মসূচির রূপরেখা
কমিটি কর্তৃক জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের রূপরেখা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হবে। এই উপ-কমিটিগুলি অনুষ্ঠান পরিচালনা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, মিডিয়া কভারেজ, বিদেশি প্রতিনিধিদের স্বাগত জানানো এবং স্মৃতিসৌধগুলোর ব্যবস্থাপনার মতো কাজ দেখভাল করবে।
এছাড়াও, কমিটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের তথ্য সারা দেশে ছড়িয়ে দেবে। এর অধীনে বিশেষ ভিডিও, ডকুমেন্টারি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালিয়ে বাজপেয়ীজির অবদানকে ব্যাপক দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
যুবক এবং শিক্ষার উপর বিশেষ নজর
কমিটি বিশেষভাবে যুবকদের অটল বিহারী বাজপেয়ীর জীবন ও আদর্শের সঙ্গে যুক্ত করতে শিক্ষা ও ছাত্র প্রোগ্রামগুলিকে উৎসাহিত করবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিশেষ বক্তৃতা, রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এছাড়াও, যুব নেতাদের এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ওয়ার্কশপ ও সেমিনারের আয়োজন করে তাদের দেশপ্রেম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার অনুভূতিকে শক্তিশালী করা হবে।