আগ্রায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ‘অটল পুরম টাউনশিপ’-এর শুভ উদ্বোধন

আগ্রায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ‘অটল পুরম টাউনশিপ’-এর শুভ উদ্বোধন

আগ্রাকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত আবাসিক প্রকল্পের উপহার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মঙ্গলবার ‘অটল পুরম টাউনশিপ’-এর সূচনা করেছেন। এই টাউনশিপটি ৩৪০ একর ক্ষেত্রফলে বিস্তৃত এবং আগ্রা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (ADA) সবচেয়ে বড় আবাসিক প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এতে ১৪৩০টি আবাসিক প্লট, ১৮টি গ্রুপ হাউজিং প্লট এবং ৯৬টি বাণিজ্যিক প্লট রয়েছে। কমিশনারের সভাগৃহে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পকে শহরের ভবিষ্যতের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।

এই টাউনশিপটি আগ্রা ইনার রিং রোড, দক্ষিণ বাইপাস এবং গোয়ালিয়র রোডের ত্রিকোণ संगमস্থলে তৈরি করা হচ্ছে, যা এই অঞ্চলের কানেক্টিভিটি এবং উপযোগিতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র আবাসিক চাহিদা পূরণ করবে না, বরং আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং শহরের ভাবমূর্তিকেও নতুন রূপ দেবে।

কৃষকদের সম্মতিতে জমি অধিগ্রহণ

অটল পুরম প্রকল্পের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এখানে ভূমি অধিগ্রহণ ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে করা হয়নি, বরং কৃষকদের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে জমি কেনা হয়েছে। কৃষকদের তাঁদের জমির বদলে সার্কেল রেটের চারগুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়ে প্রায় ৭৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এটিকে রাজ্য সরকারের কৃষক-বান্ধব চিন্তা ও স্বচ্ছ উন্নয়ন নীতির উদাহরণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মডেল ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলির জন্য আদর্শ হতে পারে।

তিনটি পর্যায়ে উন্নয়ন

এই মেগা প্রকল্পটি তিনটি পর্যায় এবং ১১টি সেক্টরে তৈরি করা হবে। টাউনশিপে ভূগর্ভস্থ ইউটিলিটি সিস্টেম, নিকাশী ব্যবস্থা, জল পরিশোধন প্ল্যান্ট (WTP), চওড়া রাস্তা এবং সবুজ অঞ্চল-এর মতো সুবিধা উপলব্ধ করা হবে, যা এটিকে একটি স্মার্ট ও পরিবেশ-বান্ধব প্রকল্প হিসেবে পরিচিত করে তুলবে।

এর পাশাপাশি, নিরাপত্তা ও জনসুবিধার প্রতিও সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। টাউনশিপে একটি পুলিশ ফাঁড়ি, ফায়ার স্টেশন এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টারও প্রস্তাবিত। প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে স্মার্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ওপর প্রায় ৭৩১ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিনিয়োগ করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অটল পুরমকে ‘ভবিষ্যতের নিউ আগ্রার ভিত্তি’ আখ্যা দিয়ে এটিকে শহরের সামগ্রিক ও সুষম উন্নয়নের দিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Leave a comment