ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পঞ্চম তথা শেষ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস গড়ল অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ ওভারেই তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া এবং পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জিতে নেয়।
স্পোর্টস নিউজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজে (T20I Series) ঐতিহাসিক জয় পেল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ৫-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করে নতুন ইতিহাস গড়ল তারা। এই প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবকটি ম্যাচ জিতল। এর সাথে, ক্যাঙ্গারু দল ২০২০ সালে ভারতের তৈরি করা রেকর্ডের সমতুল্য হল, যখন টিম ইন্ডিয়া নিউজিল্যান্ডকে তাদের ঘরের মাঠে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক জয়
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পঞ্চম এবং শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দুর্দান্ত পারফর্ম করে ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ১৭ ওভারেই অর্জন করে। ৩ উইকেটে ম্যাচটি জিতে সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে নিজেদের নামে করে নেয়। ক্রিকেট ইতিহাসে এই জয় একটি বড় কৃতিত্ব হিসেবে গণ্য হবে, কারণ খুব কম দলই পাঁচ বা তার বেশি ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবকটি ম্যাচ জিতেছে।
ভারতের মহারেকর্ডের সমতুল্য
এই জয়ের সাথে অস্ট্রেলিয়া ভারতের সেই রেকর্ডের সমতুল্য হল, যা টিম ইন্ডিয়া ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গড়েছিল। বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারত কিউইদের দেশে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৫-০ ব্যবধানে জিতেছিল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এই নিয়ে ষষ্ঠবার কোনো দল ৫ বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজে সবকটি ম্যাচ জিতল।
ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে মালয়েশিয়া, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ, তানজানিয়া এবং স্পেন। মজার বিষয় হল, স্পেন এই কৃতিত্ব দুবার অর্জন করেছে, যদিও তাদের একটি সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলা হয়নি, তাই সেটি সরকারি রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত নয়।
পঞ্চম ম্যাচের রোমাঞ্চকর লড়াই
অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা খুব খারাপ হয় এবং পাওয়ারপ্লে-তেই তারা ৩টি উইকেট হারায়। শিমরন হেটমায়ার ৩১ বলে ৫২ রানের একটি ইনিংস খেলেন এবং শার্ফেন রাদারফোর্ড ১৭ বলে ৩৫ রান যোগ করেন, কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানরা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফলস্বরূপ, উইন্ডিজ দল শেষ ওভারে ১৭০ রানে অলআউট হয়ে যায়।
অস্ট্রেলীয় বোলাররা সুশৃঙ্খল বোলিংয়ের প্রদর্শন করেন। দলের ৬ জন বোলারই উইকেট পান। বেন ডোয়ার্শুইস সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করে ৩টি উইকেট নেন, যেখানে অ্যাডাম জাম্পা এবং শন অ্যাবট ২টি করে উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিস্ফোরক ব্যাটিং
১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও কিছুটা টালমাটাল ছিল, কিন্তু দল দ্রুত সামলে নেয়। অধিনায়ক মিচেল মার্শ এবং জশ ইংলিস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রানের গতি কখনও কমতে দেননি। ট্রেভিস হেড, টিম ডেভিড এবং ম্যাথু শর্টের মতো ব্যাটসম্যানরাও মারকাটারি ব্যাটিং করেন এবং দল ১৭ ওভারেই লক্ষ্য অর্জন করে নেয়।
এই জয় শুধু সিরিজ ক্লিন সুইপ করতেই সাহায্য করেনি, বরং অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এই পারফরম্যান্স তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে।