আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে দলিত পঞ্চায়েত সচিবকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। অডিও ভাইরাল হওয়ার পর তেজ প্রতাপ যাদব দলের নেতৃত্বের কাছে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
Bihar Politics: আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে এক দলিত পঞ্চায়েত সচিবকে হুমকি দেওয়া এবং জাতিগত বিদ্বেষমূলক শব্দ ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অডিও ভাইরাল হওয়ার পর এই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এখন স্বয়ং দলের वरिष्ठ নেতা এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তেজ প্রতাপ যাদব প্রকাশ্যে আরজেডি নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ভাই বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। সচিব সন্দীপ কুমার পটনার এসসি-এসটি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন।
তেজ প্রতাপের প্রকাশ্য বিরোধিতা
প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ যাদব এই প্রথমবার নিজের দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। তিনি মানেরের আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন যে তিনি শুধু একজন দলিত পঞ্চায়েত সচিবকে অপমান করেননি, তাঁকে হুমকিও দিয়েছেন। তেজ প্রতাপ বলেছেন, যদি তিনি কোনো ভুল করেন, তাহলে তাঁকে দল থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলা হয়, কিন্তু ভাই বীরেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেন নীরবতা?
তেজ প্রতাপ যাদব বলেছেন – “আমাকে তো পরিবার এবং দলের লোকেরা জয়চাঁদ বলে দল থেকে বের করে দিয়েছে। কিন্তু ভাই বীরেন্দ্রর মতো নেতা, যিনি প্রকাশ্যে একজন দলিত কর্মীকে হুমকি দেন, তাঁর বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন?” তেজ প্রতাপের এই মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে দলে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
পুরো ঘটনাটি কী
পুরো বিতর্কটি ২৬ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, যখন মানেরের বালুয়া পঞ্চায়েতের সচিব সন্দীপ কুমারকে একটি হুমকির ফোন আসে। ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে “ভাই বীরেন্দ্র” বলে পরিচয় দেন। যখন সচিব তাঁকে চিনতে অস্বীকার করেন, তখন অভিযুক্ত বিধায়ক রেগে গিয়ে বলেন – “জুতো দিয়ে মারব। চিনতে পারছ না? কিছুও হতে পারে।”
এই হুমকি ভরা কথোপকথনের রেকর্ডিং ভাইরাল হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন এই অডিওটি সামনে আসে, তখন বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে সন্দীপ কুমার পটনার এসসি-এসটি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। এফআইআর-এ জাতিগত ভাষা ব্যবহার এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত সচিবকে নোটিস, তারপর এফআইআর
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অডিও সামনে আসার পর মানেরের বিডিও (ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার) সচিব সন্দীপ কুমারকে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেন। এরপর সন্দীপ আইনি পদক্ষেপ নিয়ে আরজেডি বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন যে বিধায়ক তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এবং জাতিগতভাবে অপমান করেছেন।
আরজেডিতে বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ কোন্দল
তেজ প্রতাপ যাদবের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে আরজেডিতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। তিনি যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন, তা শুধু একজন বিধায়কের আচরণের সঙ্গে যুক্ত নয়, এটি দলের কাজকর্মের ওপরও প্রশ্ন তোলে। তেজ প্রতাপ বলেছেন যে যদি দল সত্যিই সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলে, তাহলে তাদের উচিত এমন বিষয়ে দ্রুত এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
এসসি-এসটি আইনের অধীনে মামলা দায়ের
এসসি-এসটি থানায় দায়ের করা এই এফআইআর-এর আইনি গুরুত্ব অনেক বেশি। এসসি-এসটি (অত্যাচার निवारण) अधिनियम-এর অধীনে কোনো দলিত বা আদিবাসীকে হুমকি দেওয়া, অপমান করা বা জাতিগত বিদ্বেষমূলক শব্দ ব্যবহার করা একটি গুরুতর অপরাধ। এই আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা এবং জরিমানা উভয়েরই বিধান রয়েছে।