মাছ ভালবাসেন? সাবধান! এই মাছটা খেলেই শেষ হতে পারে গল্প :পশ্চিমবঙ্গের মানুষের খাবারের থালায় মাছ না থাকলে ভাত যেন অপূর্ণ লাগে। কিন্তু সব মাছ শরীরের পক্ষে উপকারী নয়। বিশেষ করে এক ধরনের মাছ—তেলাপিয়া (Tilapia)—খাওয়া শরীরের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর হতে পারে, বলছেন চিকিৎসকরা।

সামুদ্রিক মাছ বেশি উপকারী, চাষের মাছ নয়
স্যালমন, ম্যাকেরেল, টুনা—এই মাছগুলিতে রয়েছে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, অনেক চাষের মাছ এমন জলে বেড়ে ওঠে যেখানে শিল্পবর্জ্য ও রাসায়নিক মিশ্রিত থাকে। ফলে সেই মাছের মাংসও দূষিত হয়ে পড়ে।
তেলাপিয়ায় লুকিয়ে আছে বিপদ—রাসায়নিক ও বিষাক্ত পদার্থে ভরপুর
তেলাপিয়া মাছের মধ্যে অতিরিক্ত ক্ষতিকর চর্বি ও ডাইবিউটিলিন নামের রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা হৃদরোগ, স্থূলতা ও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
আরও ভয়ঙ্কর বিষয়—এতে ডাইঅক্সিন নামে এক বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
চাষের জলের দূষণেই বড় সমস্যা
বিশেষজ্ঞদের মতে, চাষের মাছের জলে থাকা পারদ (Mercury) মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে।
গর্ভবতী নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের তাই এই মাছ থেকে দূরে থাকা উচিত।
ডাক্তারেরা বলছেন—এই পারদ শরীরে জমে ভবিষ্যতে মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড ও হৃদরোগের রোগীদের জন্যও ঝুঁকি
যাদের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাঁদের তেলাপিয়া বা টুনার মতো কিছু মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো।
অতিরিক্ত মাছ, মদ্যপান বা লাল মাংস খেলে গেঁটে বাত ও কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়ে।
তবে পরিমিত পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
কোন মাছ খেলে উপকার, আর কোনটি নয়
গবেষণায় দেখা গেছে—ভোলা ভেটকি বা স্যালমন মাছ শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
অন্যদিকে, তেলাপিয়া মাছের মধ্যে জমা রাসায়নিক শরীরের পক্ষে বিষের মতো কাজ করে।

মাছ প্রোটিন ও ভিটামিনের অন্যতম উৎস, কিন্তু সব মাছ সমান নয়।সপ্তাহে ২–৩ বার মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যকর, তবে নিশ্চিত করুন—সেই মাছ দূষণমুক্ত ও নিরাপদ উৎস থেকে এসেছে।একথা মনে রাখুন—স্বাস্থ্যের জন্য তেলাপিয়া মানেই ‘নো’!













