বাগপত জেলার খিন্দৌড়া গ্রামের ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে নিখোঁজ হওয়ায় উদ্বিগ্ন বাবা অশোক শর্মা আমরণ অনশনে বসেছেন। এক মাস ধরে মেয়ের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় সর্ব সমাজও তাঁর সমর্থনে এগিয়ে এসেছে।
বাগপত: উত্তর প্রদেশের বাগপত জেলার সিংঘাওলি আহির থানা এলাকার খিন্দৌড়া গ্রামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী গত এক মাস ধরে নিখোঁজ। মেয়ের সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন বাবা অশোক শর্মা ২৬শে আগস্ট থেকে তাঁর বাড়ির বাইরে প্যান্ডেল তৈরি করে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। অশোকের বক্তব্য, যতক্ষণ না তাঁর মেয়ে ফিরে আসে, তিনি অনশন থেকে উঠবেন না।
এই ঘটনা এখন শুধু একটি পরিবারের সমস্যা নয়, বরং পুরো সমাজের मुद्दा (বিষয়) হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রাহ্মণ সমাজের জেলা সভাপতি মনোজ কুমার শর্মা সহ সর্বস্তরের মানুষ অশোকের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করছেন।
নিখোঁজ মেয়ের পরিবারের থানায় মামলা দায়ের
অশোক শর্মার মেয়ে ২৬শে জুলাই হঠাৎ করে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। যাওয়ার আগে সে তার বান্ধবীকে ফোন করে বলেছিল, "আমার বাড়ির লোকদের বোলো, আমি আর কখনও ফিরব না।" এরপর পরিবার সিংঘাওলি আহির থানায় একটি মামলা দায়ের করে, কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারেনি।
বারবার কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানানো এবং লখনউ পর্যন্ত জনতা দরবারে যাওয়ার পরেও অশোক শর্মা কোনো ठोस সাহায্য পাননি। হতাশ হয়ে তিনি আমরণ অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন।
প্রশাসনের কাছে সমাজের পদক্ষেপের দাবি
অনশনে শুধু পরিবার নয়, ব্রাহ্মণ সমাজ এবং সর্বস্তরের মানুষও অংশ নিয়েছেন। মনোজ কুমার শর্মা বলেছেন যে এটি কেবল একটি পরিবারের নয়, সমাজের সম্মান ও নিরাপত্তার প্রশ্ন। তিনি সরকার ও পুলিশকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে এই আন্দোলন আরও বড় আকার নিতে পারে।
এর আগেও, ভুক্তভোগী পরিবার এসপি অফিস এবং কালেক্টরেটে বিক্ষোভ করেছিল। কর্মকর্তারা পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ক্ষুব্ধ সমাজ মহাপঞ্চায়েত ডাকার ঘোষণা করেছিল, যা পুলিশ চাপ সৃষ্টি করে ১৫ দিনের आश्वासনের (আশ্বাসের) সঙ্গে স্থগিত করে দেয়।
পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশের দাবি, তারা বিষয়টি তদন্ত করছে এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ চলছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো ठोस (কঠিন) সাফল্য আসেনি। স্থানীয় জনগণ ও সমাজের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করছেন যে পুলিশ এই মামলাটি ठंडे बस्ते में डाल दिया है (ঠান্ডা বাক্সে ফেলে দিয়েছে)।
মানুষের বক্তব্য, যখন সরকার "বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও" (কন্যা বাঁচাও-কন্যা পড়াও) স্লোগান দেয়, তখন এই ধরনের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু এখানে প্রশাসনের ধীর গতি ভুক্তভোগী পরিবারকে হতাশ ও निराश (হতাশ) করে দিয়েছে।
বাবার বেদনা ও সমাজের উদ্বেগ
অশোক শর্মা বলেন, "আমার মেয়ের কষ্ট শুধু আমিই জানি। সে যদি ফিরে না আসে, তাহলে আমি মরते दम तक (শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত) অনশনে বসে থাকব।" তাঁর এই भावनात्मक আবেদনে পুরো এলাকা কেঁপে উঠেছে।
সমাজের লোকেরাও মনে করেন যে এই ধরনের ঘটনায় পুলিশ সক্রিয় না হলে সাধারণ মানুষের সিস্টেমের উপর থেকে আস্থা টলে যাবে।