প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফাতেও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নজরদারি জোরদার করল রাজ্য: এবার প্রাপকদের তালিকা নির্ভুল করতে হবে একাধিক স্তরে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
সোশ্যাল অডিট টিম মাঠে নামছে
রাজ্য জানিয়েছে, বিশেষ সোশ্যাল অডিট টিম তৈরি হবে। এই টিম প্রাপকদের তালিকা ধরে নিজেদের মতো করে যাচাই চালাবে। একই সঙ্গে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ক্রস ভেরিফিকেশনও করা হবে। এতে কোনও রকম গরমিল এড়ানোই মূল লক্ষ্য।
বাধ্যতামূলক যাচাইয়ের নির্দেশ
নবান্নের নির্দেশ অনুসারে, বিডিও বা জয়েন্ট বিডিওরা বাধ্যতামূলকভাবে ১৫ শতাংশ, এসডিও স্তরে ৫ শতাংশ, জেলা অফিসাররা ২ শতাংশ তালিকা যাচাই করবেন। থানার ওসি, আইসি ও রাজ্য স্তরের মনিটরিং দলও প্রয়োজনে যাচাই করতে পারবেন।
অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা
প্রকল্প নিয়ে যে কোনও অভিযোগ এলেই পাঁচটি কাজের দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ জানানোর জন্য জেলা, এসডিও ও বিডিও অফিসে বিশেষ কমপ্লেন বক্সও বসানো হচ্ছে। পাশাপাশি ‘দিদিকে বলো’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো যাবে।
সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন
১০ অক্টোবরের মধ্যে দ্বিতীয় দফার প্রাপকদের পুনর্মূল্যায়ন শেষ করতে হবে। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সরজমিনে গিয়ে দেখা বাধ্যতামূলক, সুবিধাভোগী প্রকৃতপক্ষে যোগ্য কিনা। ৩ নভেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ, আর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে চূড়ান্ত তালিকা।
জেলা থেকে রাজ্য পর্যন্ত কড়াকড়ি
প্রতিটি জেলায় বিশেষ গাইডলাইন পাঠিয়েছে নবান্ন। জেলাশাসক থেকে ব্লক প্রশাসন—সব স্তরে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বেঁধে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য একটাই—অযোগ্য কেউ যাতে প্রকল্পের সুবিধা না পায়।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রাপকদের তালিকা নিয়ে কড়াকড়ি বাড়াল নবান্ন। দ্বিতীয় দফার সমীক্ষায় ৬ দফায় নজরদারি চালানো হবে। তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকলেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো যাবে। জেলা থেকে ব্লক পর্যায় পর্যন্ত বাধ্যতামূলক যাচাইয়ের নির্দেশ।