বিহারে राजद সাংসদ সঞ্জয় যাদব বলেছেন, নীতীশ কুমারই মুখ্যমন্ত্রী পদের একমাত্র প্রার্থী। বিহার অধিকার যাত্রায় জনগণের মনোভাব পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
বিহার রাজনীতি: আবারও বিহারে আরজেডি (RJD) -এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে একটি বড় বিবৃতি এসেছে। আরজেডি সাংসদ সঞ্জয় যাদব স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে মহাজোটে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য একমাত্র মুখ হলেন নীতীশ কুমার। সঞ্জয় যাদব বলেছেন যে কংগ্রেস পার্টি সম্মত হোক বা না হোক, বিহারের মানুষ নীতীশ কুমারকে গ্রহণ করেছে। তাঁর মতে, নীতীশ এখন পিছু হটতে পারবেন না কারণ জনগণ তাঁকে মাথায় তুলে নিয়েছে।
সঞ্জয় যাদব জানিয়েছেন যে মহাজোটে আসন সমঝোতার আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেওয়া হবে না। তাঁর মতে, এই বিষয়টি কেবল মহাজোটের মধ্যেই সমাধান করা হচ্ছে, যেখানে বিরোধী জোট এনডিএ (NDA) আসন ভাগাভাগির জন্য ভিন্ন পথে চিন্তা করছে।
বিহার অধিকার যাত্রা: জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন
বিরোধী নেতা নীতীশ কুমার মঙ্গলবার ধরুয়া এবং পুনপুন থেকে বিহার অধিকার যাত্রা (Bihar Adhikar Yatra) শুরু করেছেন। যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল জনগণের সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন এবং বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার উপর আলোকপাত করা। নীতীশ কুমার কর্মীদের বলেছেন যে সরকার বদলানো উচিত এবং বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য সামাজিক বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।
যাত্রার সূচনা ধরুয়ার পাটনা-গয়া ফোরলেনের নাদওয়া বাজার, সরওয়া গোমটি এবং সকরপুরা মোড় থেকে হয়। নীতীশ কুমার জনগণকে আশ্বাস দিয়েছেন যে আরজেডি জনগণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের সমস্যার সমাধানই হবে প্রধান অগ্রাধিকার।
রেখা দেবীর প্রতিবাদের মুখে মঞ্চ খালি
যাত্রার সময় সরওয়া গোমটিতে কর্মীরা বর্তমান বিধায়ক রেখা দেবীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। আরজেডি কর্মীরা প্রধান সড়কে শুয়ে "রেখা হটাও, মসৌরি বাঁচাও" স্লোগান দেন। প্রবল প্রতিবাদের কারণে নীতীশ কুমার গাড়ি থেকে নামতে পারেননি এবং মঞ্চ খালি রয়ে যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরওয়া গোমটির কাছে মঞ্চ থেকে জনগণকে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কর্মীদের ক্ষোভ দেখে নীতীশ সেখানে নামেননি।
নাদওয়া, সকরপুরা এবং দমদীচক সহ বিভিন্ন এলাকায় রেখা দেবীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়। ধরুয়া प्रखंडের উপ-প্রধান রাজকিশোর প্রসাদের যোগদানে প্রতিবাদের স্বর আরও জোরদার হয়। ঘটনাস্থলে আরজেডির প্রবীণ নেতা ধন্নি যাদব, উপ-প্রধান প্রেম কুমার, জেলা পরিষদ সদস্য চন্দন যাদব, बबलू মিশ্র, পিণ্টু যাদব, নীতীশ কুমার এবং উর্মীলা দেবী উপস্থিত ছিলেন।
ভোটার অধিকার যাত্রা থেকে জনগণের বার্তা
সঞ্জয় যাদব বলেছেন যে বিহার অধিকার যাত্রার সময় জনগণের মনোভাব থেকে পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে এনডিএ (NDA) -এর লোকেরা হয়তো এই সংকেত শুনতে পাচ্ছে না বা ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করছে। তাঁর মতে, জনগণ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং আরজেডি (RJD) এই বার্তাটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সঞ্জয় বলেছেন যে ভোটার অধিকার যাত্রার প্রতি জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখায় যে নীতীশ কুমারের নেতৃত্ব জনগণের মধ্যে শক্তিশালী। এই যাত্রার মাধ্যমে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলি জনগণের সমস্যা এবং প্রত্যাশাগুলি আরও ভালভাবে বুঝতে পারবে।
আসন সমঝোতা এবং মহাজোটের অবস্থা
সঞ্জয় যাদব আসন সমঝোতার প্রশ্নে বলেছেন যে আলোচনা ইতিবাচক দিকে চলছে। তিনি আরও বলেছেন যে মহাজোটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদের সিদ্ধান্ত কেবল নীতীশ কুমারের পক্ষেই। তাঁর মতে, বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নীতীশের মতো মুখ অন্য কোনো দলের কাছে নেই।
সঞ্জয় স্পষ্ট করেছেন যে মহাজোটে কোনো "কিন্তু-পরন্তু" নেই। নীতীশ এখন পিছু হটতে পারবেন না এবং জনগণ তাঁকে গ্রহণ করেছে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে কোনো বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা চলছে এবং আসন বন্টন একটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হবে।
সরকারের ব্যর্থতার উপর নীতীশের আলোকপাত
নীতীশ কুমার যাত্রার সময় বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার দিকে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়গুলি প্রধান্য দিয়ে তুলে ধরেছেন।
নীতীশ কর্মীদের আবেদন করেছেন যে তারা যেন জনগণের মধ্যে গিয়ে সরকারের ব্যর্থতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করেন এবং জনগণকে এই বার্তা দেন যে পরিবর্তন প্রয়োজন। তিনি বলেছেন যে বিহারের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণই হওয়া উচিত প্রধান লক্ষ্য।