বৃহস্পতিবার হতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতির এক বড় মোড় পরিবর্তনের দিন
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে আসতে চলেছে নতুন মুখ। দিলীপ ঘোষের পরে সুকান্ত মজুমদার সেই দায়িত্ব সামলালেও এবার সামনে এসেছে উত্তরাধিকার প্রশ্ন। কে হচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির নতুন নেতা? কলকাতার রাজনীতির অলিন্দে এখন এই জল্পনাই তুঙ্গে।
মনোনয়ন পর্বের আগে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বিজেপি সদর দফতর
আজ বুধবার সল্টলেকের বিজেপি সদর দফতর যেন নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্র। দুপুর ২টা থেকে শুরু হবে মনোনয়নপত্র জমার পালা, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপরই শুরু হবে স্ক্রুটিনি পর্ব, যাতে দেখা হবে প্রার্থীদের নথি ঠিকঠাক কিনা। সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘোষণা করা হবে কারা থাকছেন সভাপতি পদের দৌড়ে। কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে ইতিমধ্যেই দফতরে উৎসবের আমেজ।
একাধিক মনোনয়ন জমা পড়লে বৃহস্পতিবার হবে ভোট
যদি আজ একের অধিক মনোনয়ন জমা পড়ে, তাহলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। ভোট চলবে দুপুর ১২টা থেকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতে পারে ভোট গণনার কাজ। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, সাধারণত একক প্রার্থীতার মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচন হয়। এবার সেই রীতি ভাঙে কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রবল কৌতূহল।
২৯৪ জন প্রতিনিধির ভোটে নির্ধারিত হবে নতুন সভাপতি
পুরো রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একজন করে প্রতিনিধি ইতিমধ্যেই নির্বাচনের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এই প্রতিনিধিরাই আগামীকাল সকাল থেকে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বিজেপির বিধানসভা পর্যায়ের এই প্রতিনিধিদের মধ্যেই রয়েছে দলের আগামী দিনের নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার দায়িত্ব।
সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে হবে ঐতিহাসিক ঘোষণা
বৃহস্পতিবারের ভোটপর্ব শেষ হলে দুপুর ১:৩০ টার মধ্যে কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থক ও সংবাদমাধ্যমের চোখ থাকবে সেদিকেই।
সুকান্ত মজুমদারের বিদায় নিয়ে জল্পনার জলঘোলা
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতির পদে রয়েছেন। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে তাঁর অধিষ্ঠান ছিল রাজনৈতিক মহলের চমক। কিন্তু বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব পাওয়ায় ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতির কারণে তাঁর সরে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিজেপির অন্দরে এই নিয়ে কানাঘুষো চলছে দীর্ঘদিন ধরেই।