যতই ডাক্তাররা বারণ করুন না কেন, এখনও অনেক বাঙালি বাড়িতেই রবিবার দুপুরে পাঁঠার মাংস রান্না হয়। উৎসব বা ছুটির দিনে এই মটন ছাড়া বড় ভোজ যেন অসম্পূর্ণ। বাঙালি হেঁশেলের পাঁঠার মাংস মানেই নরম আলুর সঙ্গে লাল ঝোল, যা ঠাকুরবাড়ির প্রণালীতে রাঁধলে স্বাদে এক অন্যরকম মাত্রা পায়। প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবীর প্রণালী অনুযায়ী রান্না করা মাংসের বিরিঞ্চি আজকাল লুপ্তপ্রায়। আসুন জেনে নিই এই বিশেষ রেসিপি।
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস
২টি মাঝারি আলু, দু’টুকরো করে কাটা
২টি বড় পেঁয়াজ, কুচি করা
১ চামচ আদা-রসুন বাটা
১ চামচ পেঁয়াজ বাটা
১ চামচ জিরে গুঁড়ো
১ চামচ ধনে গুঁড়ো
১ চামচ গরম মশলার গুঁড়ো
২টি তেজপাতা
৪-৫টি এলাচ
২টি দারচিনি
৬-৭টি লবঙ্গ
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
২ চামচ ঘি
আধ কাপ টকদই
সর্ষের তেল,
নুন স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
মাংসকে দই, আদা-পেঁয়াজ-রসুন বাটা এবং জিরে গুঁড়ো দিয়ে ২-৩ ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন (সারা রাত ম্যারিনেট করলে আরও ভালো)।
কড়াইতে তেল বা ঘি গরম করে তাতে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ দিয়ে হালকা নাড়াচাড়া করুন।
ম্যারিনেট করা মাংস যোগ করে তেল ছাড়ার আগে ৪-৫ মিনিট কষান।
আলু দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষান।
অল্প জল দিয়ে ঢেকে বসিয়ে দিন, মাংস ও আলু সেদ্ধ হলে উপরে গরম মশলা ও ঘি ছড়িয়ে নামান।
স্বাদ বাড়ানোর জন্য পেস্তা বাদাম বাটা ও কিশমিশ যোগ করতে পারেন।
ঠাকুরবাড়ির মটন বিরিঞ্চি শুধুই একটি রান্না নয়; এটি বাঙালি খাবারের ঐতিহ্যের এক মূল্যবান অংশ। এই রেসিপি অনুসরণ করে আপনি বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন লুপ্তপ্রায় মাংসের স্বাদ, যা বিশেষ দিন বা পুজোর সময় সকলের মুখে হাসি ফুটাবে।