দিল্লি আউটার জেলা পুলিশ দুই দফায় অবৈধ জুয়ার আখড়াগুলিতে অভিযান চালিয়ে ১৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই অভিযানে হাজার হাজার টাকা নগদ এবং জুয়ার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
নতুন দিল্লি: দিল্লি আউটার জেলা পুলিশ অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলা জুয়ার আখড়াগুলিতে অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে মোট ১৭ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হাজার হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই পদক্ষেপ সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ জুয়ার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নজরদারির অংশ।
পশ্চিম বিহারে অবৈধ জুয়ার হদিস ও দুই গ্রেফতার
ডিসিএসপি আউটার ডিস্ট্রিক্টের নির্দেশে পুলিশ সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে টহল এবং নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছিল। পশ্চিম বিহার ওয়েস্ট থানার দল नेहरू মার্কেট এবং ज्वालाপুরীর কাছে বাঘ ওয়ালা পার্কে অভিযান চালায়। টহল দেওয়ার সময় হেড कांस्टेबल সুজন এবং সুরেশ খবর পান যে পার্কে অবৈধ জুয়া খেলা হচ্ছে।
পুলিশ পৌঁছাতেই অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু দুইজনকে ধরা হয়। তল্লাশি চলাকালীন হাজার হাজার টাকা নগদ এবং জুয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় এফআইআর নম্বর ৩৭৮/২০২৫ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই অভিযান জেলায় জুয়ার বিরুদ্ধে একটি কঠোর সতর্কবার্তা।
নাঙ্গলোইতে দুই দফায় অভিযান ও গ্রেফতার
নাঙ্গলোই থানার পুলিশও দুই দফায় অপারেশন চালায়। প্রথম দফায় স্বর্ণ পার্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে ধরা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে নগদ ও জুয়ার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় দফায় সুলতানপুরি রোড ফ্লাইওভারের নীচে চলা জুয়ার আখড়ায় অভিযান চালানো হয়, যেখানে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এই উভয় মামলায় এফআইআর নম্বর ৩৪৫/২০২৫ এবং ৩৪৬/২০২৫ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই অভিযানগুলির উদ্দেশ্য কেবল গ্রেফতার করাই নয়, বরং জুয়ার নেটওয়ার্ককে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়া। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে তদন্ত চলছে এবং অন্যান্য সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
অভিযুক্তদের হাতে নাতে ধরা
মঙ্গোলপুরী থানার পুলিশ তিনটি ভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এল-ব্লক এবং ডি-ব্লক বাল্মীকি পার্ক থেকে দুজন করে অভিযুক্তকে ধরা হয়, যখন জি-ব্লক থেকে সাতজনকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। সমস্ত স্থান থেকে নগদ, জুয়ার কাগজপত্র এবং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের পরিচয় হলো রিতিক (২৪), হরি সিং (৫২), পুস্পিন্দর (৩২), ভিকি (৩৮), অমরজিৎ (২৬), শম্ভু (৪৪), হরি চন্দ (৪২), রমন সিং (২৫), একজন (২৯), সালমান খান (৩০), রোহান সোনি (১৯), হাসীন আহমেদ (৪৭), দীনেশ চন্দ্র (৩৮), আকাশ (২৫), আতিক আহমেদ (৪৫), দীনেশ (৩৩) এবং আরমান (১৯)। এরা সবাই দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
জেলায় অবৈধ জুয়া এবং অপরাধের উপর নজরদারি জারি
পুলিশ জানিয়েছে যে জেলায় সংগঠিত অপরাধ এবং অবৈধ কার্যকলাপের উপর নিয়মিত নজরদারি রাখা হবে। টহল এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে যাতে নাগরিকরা নিরাপদ পরিবেশে জীবনযাপন করতে পারে। আধিকারিকরা সতর্ক করেছেন যে জুয়া এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তিদের কোনভাবেই রেহাই দেওয়া হবে না।
আরও তদন্তে জানা যাবে যে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের নেটওয়ার্ক কতটা বড় এবং অন্য কোন কোন এলাকায় অবৈধ জুয়ার কার্যকলাপ চলছে। পুলিশ স্থানীয় নাগরিকদের কাছেও আবেদন জানিয়েছে যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে দেওয়ার জন্য, যাতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।