ভিওয়ানিতে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা মনীষার হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিং সাইনি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভিওয়ানির পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে এবং ৫ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরিবার শেষকৃত্য বন্ধ করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে, অন্যদিকে রাজ্য সরকার আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার উপর জোর দিয়েছে।
Haryana: উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিং সাইনি ভিওয়ানিতে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা মনীষার হত্যার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনে পরিবর্তন এনেছেন। ঘটনাটি ১৩ই আগস্ট মনীষার গ্রাম সিঙ্ঘানির একটি খেতে ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী সাইনি ভিওয়ানির পুলিশ সুপারকে বদলি করে সুমিত কুমারকে নতুন এসপি নিযুক্ত করেছেন এবং ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছেন। মনীষার পরিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত শেষকৃত্য করবে না বলে অনড়। মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ভিওয়ানি শিক্ষক হত্যাকাণ্ড
ভিওয়ানিতে ১৯ বছর বয়সী শিক্ষিকা মনীষার হত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিং সাইনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ভিওয়ানির পুলিশ সুপারকে বদলি করেছেন এবং পাঁচজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন। মনীষার মৃতদেহ ১৩ই আগস্ট তার গ্রাম সিঙ্ঘানির একটি খেতে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর পরিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত শেষকৃত্য স্থগিত করে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন ভবিষ্যতে এ ধরনের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। সাইনি নিশ্চিত করেছেন যে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে বজায় রাখা হবে এবং প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা সরকারের অগ্রাধিকার থাকবে।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় অসন্তোষ
মনীষার পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি করার অভিযোগ করেছে। তারা বলেছে যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত শেষকৃত্য করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২০১৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সুমিত কুমারকে ভিওয়ানির নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, লোহারু থানার স্টেশন হাউস অফিসার অশোক কুমার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর শকুন্তলা সহ মোট ৫ জন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছে।
মনীষার নিখোঁজ এবং হত্যার সন্দেহজনক পরিস্থিতি
মনীষা ১১ই আগস্ট স্কুল থেকে বেরিয়ে কাছের একটি নার্সিং কলেজে ভর্তির তথ্য নিতে গিয়েছিল। সে বাড়ি ফেরেনি, এরপর পরিবার তার খোঁজ শুরু করে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আশঙ্কা করা হয়েছে যে মনীষাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনা ভিওয়ানি এলাকায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ দুটোই বাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।